বিলেত বা ইংল্যান্ডে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন অনেক ভারতীয়ই। অনেকে সেখানে শিক্ষালাভ করার জন্য যেতে চান। আবার অনেকে চান ব্রিটেনে গিয়ে কর্মজগতে প্রতিষ্ঠিত হতে। এক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায় ভিসা পাওয়া বা ভিসার সমস্যা। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে পেয়ে সেই ভিসাজট মিটে যাবে বলেই আশাবাদী বহু ভারতীয়ই।
তাঁদেরই মনের কথা যেন কাছে পেয়ে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনককে বুধবার ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সুনকের পরিবারও পরাধীন ভারত থেকেই নানা দেশ ঘুরে ব্রিটেনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাই বর্তমান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীও ফেরালেন না ভারতীয়দের আর্জি। ভারতীয় যুবশ্রেণির ভিসা সমস্যা মেটাতে তিনি সবুজ সংকেত দিলেন।
বুধবার এই বার্তাটুকুই যেন ভারত-ব্রিটেনের সম্পর্কে নতুন মাত্রা যুক্ত করল। জি-২০ শীর্ষ বৈঠকের ফাঁকে হওয়া ভারত-ব্রিটেন দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সুনক কথা দিলেন, প্রতিবছর ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সি ভারতীয়দের তাঁর সরকার ব্রিটেনে শিক্ষা এবং কাজের জন্য ভিসা দেবে। প্রত্যেক বছর তিন হাজার ভারতীয় এমন ভিসা পাবেন। আর, তাঁদের যোগ্যতা ও আচরণ অনুযায়ী সর্বোচ্চ দুই বছর তাঁরা থাকতে পারবেন ব্রিটেনে।
একইরকম সুযোগ ভারতে বসবাসকারী এবং কর্মরত ব্রিটিশ নাগরিকরাও পাবেন। মোদী-সুনকের মধ্যে হওয়া এই চূড়ান্ত কথার আগেই অবশ্য একটা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ভারত এবং ব্রিটেনের মধ্যে। গত বছর ইউকে-ইন্ডিয়া মাইগ্রেশন অ্যান্ড মোবিলিটি পার্টনারশিপ (এমএমপি) এর অংশ হিসেবে স্বাক্ষরিত হয়েছিল ওই চুক্তি। আর, সেই চুক্তি অনুযায়ী ২০২৩ থেকে ভিসার ক্ষেত্রে এই নতুন ব্যবস্থাপনা চালু হতে চলেছে।
আরও পড়ুন- এত ভয়ানক অপরাধ করেও এমন নিস্পৃহ, আফতাবের নার্কো পরীক্ষা চায় দিল্লি পুলিশ
চুক্তি স্বাক্ষর গতবছর হলেও শীর্ষস্তরে ছাড়ের অভাবে এতদিন তা কার্যকর করতে চাইছিল না ব্রিটেন। সুনক যেন সেই সমস্যাই মিটিয়ে দিলেন। বালিতে G20 শীর্ষ সম্মেলনে ব্রিটেনের 'ইন্দো-প্যাসিফিক ফোকাস'-এর অংশ হিসেবে সুনক এই প্রকল্প চালু করার দিকে জোর দিয়েছেন। তিনি ব্রিটেনের নতুন নিজস্ব পথ প্রকল্প নিশ্চিত করতে চাইছেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দফতর ডাউনিং স্ট্রিট জানিয়েছে যে, এই নতুন প্রকল্পে ভারতকেই প্রথম ভিসার সুবিধাপ্রাপক দেশের মর্যাদা দিল ব্রিটেন।
Read full story in English