ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী পদে ক্ষমতায় বসার একমাস পরই বিপাকে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক। তাঁর দল কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যেই ঋষি সুনাকের নীতির প্রতি বিদ্রোহ বাড়ছে। পরিস্থিতি এতটাই বিগড়েছে যে বহু সদস্য পরবর্তী নির্বাচনের আগেই পদত্যাগের হুমকি পর্যন্ত দিয়েছেন। মাসখানেক আগে ক্ষমতায় বসে সুনাক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি সুশাসন আনবেন। ঐক্য এবং স্থায়িত্বই তাঁর প্রধান লক্ষ্য।
কিন্তু, পরিস্থিতি এখন উলটো দিকে বইছে। যা বুঝিয়ে দিচ্ছে যে সুনাক প্রশাসন রীতিমতো বিপদে রয়েছে। তাঁর নীতি এবং কর্মসূচি বিরোধীরা তো বটেই, দলেরই অনেকে মোটেও পছন্দ করছেন না। এর প্রধান কারণ, মন্ত্রী পর্যায়ের কেলেঙ্কারি এবং সুনাকদের আর্থিক দৃষ্টিভঙ্গি ব্রিটেনের পরিস্থিতি আদৌ সামলাতে পারবে বলে মনে করছেন না কনজারভেটিভ পার্টি (টোরি)-র অনেক সদস্যই।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায়ই যেমন, ৪৭ জন টোরি ব্যাকবেঞ্চার নিজেদের সরকারকেই হারানোর হুমকি দেয়। তাঁরা এমন একটি সংশোধনীতে স্বাক্ষর করে, যা সুনাককে বাধ্য করেছে প্রধান গৃহনির্মাণ প্রকল্প থেকে পিছিয়ে আসতে। আগামী সপ্তাহে এই ব্যাপারে ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, এখন তা বিশ বাঁও জলে।
আরও পড়ুন- ‘পরিস্থিতি সন্তোষজনক নয়’ ফের বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের কড়া ধমক CBI-কে
সুনাকের সরকার যে গৃহনির্মাণ প্রকল্প নিয়েছে, তা নিয়ে কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই দ্বন্দ্ব ছিল। বহু কনজারভেটিভ পার্টি নেতাই মনে করেন, এই গৃহনির্মাণ প্রকল্পে গাছপালার ক্ষতি হবে। পরিবেশের ধ্বংস হবে। গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দারা এতে ক্ষুব্ধ হবেন। আর, বিরোধীরা তো এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই সোচ্চার। যার জেরে সুনাকের সরকার এখন ব্যাকফুটে।
এই ক্ষেত্রে সুনাক যেভাবে ভোটাভুটি এড়ালেন, তা থেকেই স্পষ্ট যে তাঁর সরকার যথেষ্ট বিপাকে রয়েছে। সেটা ভালো করেই বোঝেন তিনি। আর, হেরে যাওয়ার ভয়েই তিনি পরিকল্পনা বাতিল করে ভোটাভুটি এড়ালেন। বলা ভালো, বিরোধী এবং বিদ্রোহীদের সঙ্গে আপাতত সন্ধি করতে বাধ্য হলেন। গৃহনির্মাণ প্রকল্পের ক্ষেত্রেই যখন এমন দুরবস্থা, তখন গুরুত্বপূর্ণ বাকি প্রতিশ্রুতিগুলো এই দুর্বল সরকার পূরণ করবে কীভাবে? এটাও এখন বিরোধী এবং সুনাকের বিদ্রোহীদের বড় প্রশ্ন।
Read full story in English