প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে খুন হলেন আরজেডির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক রঘুবর রাই। বৃহস্পতিবার সকালে বিহারের কল্যাণপুর এলাকায় রঘুবরকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। ইতিমধ্যেই অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। কী কারণে ওই আরজেডি নেতাকে খুন করা হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল ৭টা নাগাদ বিহারের জনার্ধনপুর এলাকায় প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন রঘুবর। সেসময়ই ৩-৪ জনের একটি দুষ্কৃতীদল রঘুবরের উপর চড়াও হয়। রঘুবরের কাছ থেকে গুলি চালায় এক দুষ্কৃতী। গুলির শব্দ শুনেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান গ্রামবাসীরা। তবে তার আগেই চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। এ ঘটনার পর স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ওই আরজেডি নেতাকে। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন, কুখ্যাত দুস্কৃতী খুনের মামলায় সন্দেহের তীর স্ত্রী ও ছেলের দিকে
এ ঘটনা প্রসঙ্গে সমস্তিপুরের পুলিশ সুপার হরপ্রীত কউর বলেন, দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। খুনের কারণ এখনও জানা যায়নি, তদন্ত চলছে। অন্যদিকে, এ ঘটনার পরই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন আরজেডি সমর্থক ও গ্রামবাসীদের একাংশ। দ্বারভাঙা ও সমস্তিপুরের মধ্যে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। দুষ্কৃতীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি তোলেন তাঁরা।
দলের নেতার এহেন পরিণতি নিয়ে নীতিশ সরকারের উপর ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। লালুপুত্র বলেছেন, ‘‘দুষ্কৃতীদের প্রশ্রয় দেওয়া বন্ধ করা উচিত রাজ্য সরকারের। আরজেডি, আরএলএসপি নেতারা খুন হচ্ছেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যিনি কিনা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও, তিনি তাঁর পদের যোগ্য নন। মুখ্যমন্ত্রীকে চুপ থাকতে দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছি।’’
Read the full story in English