শিয়রে বিহার নির্বাচনের (Bihar Election 2020) ফল। আর তার আগেই নেটদুনিয়ায় ভাইরাল তেজস্বী যাদব (ejashwi Yadav)। প্রথমত, গতকাল অর্থাৎ ৯ নভেম্বর ছিল তাঁর জন্মদিন। এবং দ্বিতীয়ত এযাৎকালের সমীক্ষা বলছে, বিহার মসনদের পাল্লা তেজস্বীর দিকেই ভারী। আর সেই প্রেক্ষিতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন তেজস্বী যাদব ট্রেন্ডিং। তাঁর ৩১তম জন্মদিনেই সমর্থকদের শুভেচ্ছার বন্যা বয়ে গিয়েছে নেটদুনিয়ায়। নেটিজেনদের একাংশের মন্তব্য, "বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন তেজস্বী যাদব-ই।"
নির্বাচনের ফলপ্রকাশ হওয়া পর্যন্ত লোকজন আর অপেক্ষা করছেন না। এগজিট পোলে আস্থা রেখে আরজেডির কর্মী-সমর্থক সহ বিহারের একাংশ ধরেই নিয়েছেন যে তেজস্বী যাদব-ই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন। আর মাত্র ঘণ্টা খানেকের অপেক্ষা, তারপরই জানা যাবে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী কে হচ্ছেন। সকাল ৮টা থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে ভোটগণনা। এগজিট পোল অনুযায়ী, রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি)-এর নেতা তেজস্বী যাদবের দিকেই পাল্লা ভারী। অতঃপর নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে এনডিএ-ই ফের একবার বিহারে সরকার গড়বে কিনা, তা নিয়ে অনেকেই কিন্তু সন্দেহ প্রকাশ করছেন।
নেটিজেনদের একাংশের কথায়, "লালু-পুত্র তেজস্বী যাদব-ই বিহারের মসনদে বসছেন।" ইতিমধ্যে নজর কেড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া বেশ কিছু মিম। যেখানে পরিষ্কার যে, ভোটের ফলপ্রকাশ হওয়া অবধি অপেক্ষা করতে নারাজ তাঁরা। তার আগেই তেজস্বী যাদবকে মুখ্যমন্ত্রীত্বের পদে বসিয়ে ফেলেছেন নেটজনতার একাংশ। আর লালু-পুত্রর ৩১তম জন্মদিনেই সেই বার্তা দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে শুরু করে দিয়েছেন রাষ্ট্রীয় জনতা দল সমর্থকরা।
প্রসঙ্গত, তেজস্বী যাদবের আত্মবিশ্বাসের কারণ বিহারের বিপুল যুব সমর্থন। সমীক্ষা বলছে, যুব ভোটের ৪৫ শতাংশ ভোটই তেজস্বীর দিকে গিয়েছে। অন্যদিকে নীতীশের পক্ষে পাল্লা ভারী প্রবীণ ভোটারদের। তবে বিহারে মোট জনসংখ্যার ৭৪ শতাংশই যেখানে তরুণ, সেখানে তেজস্বীই যে মানসিক দিক থেকে এগিয়ে থাকবেন, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না! আর তাই সম্ভবত, ভোটের ফল বেরোনোর আগেই রাষ্ট্রীয় জনতা দলের কর্মী-সমর্থকেরা তেজস্বী যাদবের জন্মদিনে তাঁকে 'বিহারের মুখ্যমন্ত্রী' বলে সম্বোধন করতে শুরু করেছেন।