শাশুড়ি রাবড়ি দেবীর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ এনেছেন পুত্রবধূ ঐশ্বর্য রায়। এবার পাল্টা, পুত্রবধূর বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ করলেন লালু জায়া রাবড়ি দেবী। গত সোমবার ঘটনার পর পরই পুলিশকে এই হেনস্থার বিষয়ে জানানো হলেও এখনও পর্যন্ত কোনও এফআইআর দায়ের হয়নি বলে জানা গিয়েছে।
১০ নম্বর সার্কুলার রোডের বাড়ির বাইরে বসে কাঁদছিলেন লালু প্রসাদের বড় ছেলে তেজ প্রতাপ যাদবের স্ত্রী ঐশ্বর্য রায়। খবর পেয়েই ছুটে আসেন ঐশ্বর্যর বাবা এবং আরজেডি বিধায়ক চন্দ্রিকা রায়, মা পূর্ণিমা রায় ও ছোট ভাই। ছুটে আসেন তাঁর ছোট ভাইবোনরা (যাঁরা কয়েকশো মিটারের মধ্যেই থাকে)। সাংবাদিককে ঐশ্বর্য রায় বলেন, 'উপরে নিজের ঘরে আমি টিভি দেখছিলাম, তখনই মোবাইলে মেসেজ পাই যে তেজ প্রতাপ যাদবের সমর্থকরা পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস জুড়ে পোস্টার দিচ্ছেন এবং আমাকে ও আমার বাবা-মাকে নিয়ে আপত্তিকর কথা বলছেন। তখন নীচে নেমে শাশুড়িকে প্রতিবাদ জানাই যে আমাকে সবার সামনে অসম্মানিত করা হচ্ছে এবং বাবা-মাকে এ সমস্ত বিষয়ে টানা হচ্ছে এটা মেনে নেব না।' সেই সময়ই রাবড়ি দেবী তাঁকে হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ। পুত্রবধূর মোবাইল ফোন এবং অন্যান্য জিনিসপত্র কেড়ে নিয়ে চুল ধরে টেনে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন লালুপ্রস,সাদ যাদবের পুত্রবধূ ঐশ্বর্য রায়। এই ঘটনায় মাথায়, হাঁটুতে ও পায়ে চোট পেয়েছেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঐশ্বর্যকে চুল ধরে টেনে বাড়ির বাইরে বার করে দিলেন লালু-পত্নী রাবড়ি
উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন আগেই আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদের পরিবার থেকে বেরিয়ে এসেছেন পুত্রবধূ ঐশ্বর্য রায়। ২০১৮ সালের মে মাসে বিয়ে হয় তেজ প্রতাপ যাদব ও ঐশ্বর্য রায়ের। বিয়ের ছ’মাস পরেই বিচ্ছেদের আবেদন করেন তারা। বর্তমানে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা আদালতে বিচারাধীন। তবে, এখনও শ্বশুড়বাড়িতেই থাকেন ঐশ্বর্য রায়।
ঘটনার দিন রাতে, পুরো ঘটনা মোবাইলে ভিডিও করেছিলেন বলে জানান লালুর পুত্রবধূ। প্রমাণ লোপাট করতেই ওই মোবাইল কেড়ে নিয়ে মারধর করা হয়েছে বলে দাবি ঐশ্বর্য রায়ের।
Read the full story in English