সনিয়া গান্ধীর জামাই এবং প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর স্বামী রবার্ট বঢরার বিরুদ্ধে জমি কেলেঙ্কারির কোনও প্রমাণ এখনও মেলেনি। পঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাইকোর্টে হলফনামা দিয়ে জানিয়ে দিল বিজেপি শাসিত হরিয়ানার মনোহরলাল খট্টরের সরকার। ৯ বছর আগে বঢরার সংস্থা সার্স স্কাইলাইট হসপিটালিটি এবং রিয়েল এস্টেট জায়ান্ট ডিএলএফ ইউনিভার্সাল লিমিটেডের বিরুদ্ধে জমি দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই অভিযোগের কোনও প্রমাণ নেই বলে জানিয়েছে হরিয়ানা সরকার।
খট্টরের সরকার হলফনামায় জানিয়েছে, 'স্কাইলাইট হসপিটালিটি ২০১২ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ডিএলএফ ইউনিভার্সাল লিমিটেডকে সাড়ে ৩ একর জমি বিক্রি করেছিল। সেই লেনদেনে অনিয়ম হয়েছিল বলে মানেসরের মহকুমা শাসক রিপোর্ট দিয়েছিলেন।' তবে সেখানে উল্লেখ যে, জমিচুক্তির অর্থ লেনদেন নিয়ে পুলিশ এখনও তদন্ত জারি রেখেছে।
হাইকোর্টে খট্টর সরকারের হলফনামা জমার পরদিন রাজ্যের প্রাক্তন কংগ্রেসী মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হুডা দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন যে, 'আমি সবসময়ই বলেছিলেন যে এটি একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা।'
২০১৪-র অক্টোবরে হরিয়ানায় বিধানসভা ভোটের প্রচারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নতুন করে সনিয়া গান্ধীর জামাই রবহার্টের বিরুদ্ধে জমি দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন। সেই বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসকে হারিয়ে বিজেপি ক্ষমতায় আসে। কয়েক বছর পরে রবার্ট এবং হুডার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে তদন্তে নামে খট্টর সরকারের পুলিশ। কংগ্রেস অবশ্য গোড়া থেকেই সাফাই দিয়েছে, যাবতীয় স্ট্যাম্প ডিউটি দিয়েই ২০০৮ সালে বাণিজ্যিক এলাকায় সাড়ে তিন একরের জমি কিনেছিল রবার্ট বঢরার সংস্থা। তার পরই লাইসেন্স পায়। ২০২০ সালে জমিটির ন্যায্য কর মিটিয়ে ডিএলএফ সংস্থাকে বিক্রি করেছিল তারা। পুরো প্রক্রিয়ায় কোনও বেনিয়ম হয়নি। শুক্রবার যা কার্যত স্বীকার করে নিল বিজেপি পরিচালিত হরিয়ানা সরকার।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে ডিএলএফ-এর সঙ্গে বঢরার ওই জমি-চুক্তি খারিজ করে দিয়েছিলেন হরিয়ানার জমি রাজস্ব দফতরের আমলা অশোক খেমকা। কিন্তু হরিয়ানার তৎকালীন কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিংহ হুডার সরকার পরে এ নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গড়েছিল। গত জুলাই মাসে ওই কমিটি জানিয়ে দেয়, রবার্টের জমি-চুক্তি বৈধ ছিল।