লন্ডন নয়, ফরিদাবাদের জমি সূত্রেই আলাপ রবার্ট-থাম্পির

তদন্তে উঠে আসছে এইচ এল পাহওয়ার নাম। পাহওয়া 'রিয়েল আর্থ' এস্টেটের মালিক ছিলেন। পরে ওই সংস্থা কিনে নেন বঢরা।

তদন্তে উঠে আসছে এইচ এল পাহওয়ার নাম। পাহওয়া 'রিয়েল আর্থ' এস্টেটের মালিক ছিলেন। পরে ওই সংস্থা কিনে নেন বঢরা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

রবার্ট বঢরা

আর্থিক তছরুপের দায়ে অভিযুক্ত সোনিয়া জামাতা রবার্ট বঢরা। এবার ইডির নজরে হরিয়ানার ফরিদাবাদের আমিপুরের জমি হস্তান্তরের বিষয়টি। সহযোগীর থেকে কম দামে জমি কিনে অন্যকে তা বেশি দামে কেন বিক্রি করেছিলেন রবার্ট? তা নিয়েই তদন্ত এগিয়ে যেতে চাইছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

Advertisment

এক্ষেত্রে তদন্তে উঠে আসছে হরবংশ লাল পাহওয়ার নাম। পাহওয়া রিয়েল আর্থ এস্টেটের মালিক ছিলেন। পরে যা কিনে নেন বঢরা। ২০০৫-০৮ সালের মধ্যে থাম্পি বঢরার পূর্ব পরিচিত মহেশ নাগারের থেকে আমিপুরের জমি কিনে নেয়। গত বছর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের কাছে নাগার বলেন, 'স্থানীয় দালাল মারফত থাম্পির থেকে জমি কিনেছিলাম।' তবে, বঢরা ও থাম্পির সম্পর্ক নিযে মুখ খুলতে চাননি তিনি।

জানা যায়, ২০০৫-০৬ সালে ৪২ একর জমি প্রথমে পাহওয়ার থেকে কেনা হয়েছিল। উল্লেখ্য, যে মাসে জমি কেনা হয়েছিল সেই মাসেই ওই জমি রবার্ট বঢরাকে বিক্রি করে দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে জমির দামেও হেরফের হয়নি। ইডি জানতে পেরেছে, এর বছর চারেকের মধ্যে মুনাফার সঙ্গে বঢরা সেই জমিই ফের পাহওয়াকে বিক্রি করিয়ে দেওয়া হয়। উদাহরণ হিসাবে জানানো হয়, ১২ একর জমি বঢরা যেখানে ৩২.৪ লাখে কিনেছিলেন, তা পাহওয়াকে বিক্রি করা হয় ৯৫ লাখে।

Advertisment

আরও পড়ুন: গ্রেফতার সোনিয়া-জামাতার সহযোগী, অভিযোগ অর্থ তছরুপের

জমির রেকর্ড ও পাহওয়ার ব্যাঙ্ক আদান-প্রদানের তথ্য খতিয়ে দেখে আমিপুরের জমি সংক্রান্ত এই তথ্য জানতে পারে ইডি। জমি রেজিস্ট্রির আগেই জমি বেচাকেনা সংক্রান্ত সব প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা হয়। এও জানা যায় যে, সেই সময় পাহওয়ার ব্যাঙ্কে ন্যূনতম অর্থও ছিল না। এই সময় থাম্পি পাহওয়াকে নগদ অর্থ দিয়েছিল বলেও দাবি ইডির।

আমিপুরের ওই জমি ঘিরে উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ডিএলএফের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল বঢরার। জেরায় এজন্য পাঁচ কোটি টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছিলেন বঢরা। দাবি ইডির। ২০১৭ সালে জমির বিষয়টি মেনে নিলেও পরিকল্পনা এগোয়নি বলে ডিএলএফের তরফে জানানো হয়। ২০১৭ সালে ডিএলএফ বিবৃতির মাধ্যমে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছিল, '২০০৮-০৯ সালে স্কাইলাইট গ্রুপ আমিপুরের জমির কিছু অংশ কিনে নেওয়ার জন্য আমাদের কাছে প্রস্তাব দিয়েছিল। তখনই ডিএলএফ ১৫ কোটি টাকা আগ্রিম দেয়। কিন্তু, পরে জানতে পারা যায় ওই জমির কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে। ফলে স্কাইলাইট গ্রুপকে পুরো টাকা ফেরতের জন্য বলা হয়। সেই মতো ওই সংস্থা আগ্রিমের সম্পূর্ণ অর্থই ফেরত দিয়ে দেয়।'

Read the full story in English

CONGRESS ED