নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু বেড়াতে গেলে এবার আপনার রজনীকান্তের ‘রোবট’ সিনেমার কথা মনে পড়তে পারে, সৌজন্যে ‘দ্য নাউলো রেস্টুরেন্ট’। এই রেস্তোরাঁয় খেতে গেলে আপনার চোখ চমকাবেই। ‘ওয়েটার’ বলে যেই না আপনি ডাকবেন, অমনি গটগট করে হেঁটে হাজির হবে ওরা। ভাবছেন ওরা আবার কারা? ওরা ৫ জন ওয়েটার ঠিকই, কিন্তু যেমন তেমন নয়, ওরা রোবট, যারা আপনাদের রেস্তোরাঁর টেবিলে খাওয়ার পরিবেশন যেমন করবেন, তেমনই মজার ছলে কথাও বলবে আপনার সঙ্গে। হ্যাঁ, নেপাল তো বটেই, মায় দক্ষিণ এশিয়ায় এই প্রথম ওয়েটারের বেশে রোবটরা রেস্তোরাঁয় দাপিয়ে বেড়াবে।
তিনটি রোবটের নাম জিঞ্জার। অপর দু’জনের নাম ফেরি। এই ৫টি রোবটকে নিয়েই পথচলা শুরু করেছে ‘দ্য নাউলো রেস্টুরেন্ট’। ‘হোয়ার ফুড মিটস টেকনোলজি’, এই স্লোগানকে সামনে রেখে এমন অভিনব নজির গড়ল নেপালের ওই রেস্তোরাঁ। পায়লা টেকনোলজি নামে নেপালের একটি কোম্পানিই ওই ৫টি রোবট বানিয়েছে। ওই কোম্পানির ৬ জন তরুণ ইঞ্জিনিয়রের কর্মদক্ষতায় এমন অসাধ্যসাধন সম্ভব হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন, মৃত্যু হল দেশে জন্মানো প্রথম পেঙ্গুইনের
ওই রেস্তোরাঁয় টেবিলে ডিজিটাল স্ক্রিনে সাজানো থাকবে মেনুলিস্ট। যেখান থেকে অর্ডার দেওয়া যাবে। তারপর রেস্তোরাঁর হেঁশেল থেকে সেই খাবার এনে পৌঁছে দেবে জিজ্ঞার, ফেরিরা। এমন ‘মেড ইন নেপাল’ প্রযুক্তিও এই রোবটের সুবাদে নজর কাড়ল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
রোবট প্রস্তুতকারক ওই সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে যে, চিন, জাপানের প্রযুক্তি, কাজ দেখেই এই রোবটগুলির নকশা তৈরি করা হয়েছে। আগামী দিনে, এই নেপালি প্রযুক্তি আন্তর্জাতিক বাজারেও আনা হবে বলে জানা গিয়েছে।