রোহিঙ্গাদের নিয়ে ধরপাকড় চলছেই। মণিপুরে সীমান্ত এলাকা থেকে এবার এক রোহিঙ্গা দম্পতিকে গ্রেফতার করা হল। মঙ্গলবার মণিপুরের মোরে শহর থেকে এক রোহিঙ্গা দম্পতিকে গ্রেফতার করে পুলিশ ও সিআইডি-র যৌথ বাহিনী। রবিবারও ওই এলাকা থেকে আরও কয়েকজন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে গ্রেফতার করা হয়। এ নিয়ে সারা দেশে এখনও পর্যন্ত ৮ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ মণিপুরের সীমান্ত শহর মোরি এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ ও সিআইডি-র যৌথ বাহিনী। সেসময়েই ওই দম্পতিকে গ্রেফতার করা হয়। রবিবার এই দলই রোহিঙ্গাদের গ্রেফতার করেছিল। কোনও বৈধ নথি দেখাতে না পারায় রোহিঙ্গা দম্পতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন, ইন্দোনেশিয়ায় আশ্রয় নিচ্ছেন রোহিঙ্গা শরণার্থীরা, সুমাত্রা দ্বীপে উদ্ধার ৫ জন
আরও পড়ুন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে তৎপর সুপ্রিম কোর্ট, কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট তলব
গত ৪ বছর ধরে মহম্মদ শোবিক ও মিস আরোফা এই এলাকায় বাস করছেন বলে জানিয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার। ওই এলাকায় বেআইনি অনুপ্রবেশ ঠেকাতেই তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়েছে বলে এদিন জানিয়েছেন পুলিশ সুপার। ধৃত দুজন মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
মণিপুরের মোরে এবাকায় ১০ জনের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর বাস রয়েছে বলে সূত্র মারফৎ জানা গেছে।
কিছুদিন আগেই সুমাত্রা দ্বীপের কাছে ৫ রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুকে উদ্ধার করেন ইন্দোনেশিয়ার মৎস্যজীবীরা। অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে, মায়ানমার থেকে পালাতে সমুদ্র পেরোতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে আরও ৫ জনের। সুমাত্রা দ্বীপের উত্তর প্রান্ত থেকে ২ পুরুষ, ২ মহিলা ও এক শিশুকে উদ্ধার করেন পূর্ব আচেহ এলাকার মৎস্যজীবীরা। অনেক রোহিঙ্গা শরণার্থীই মায়নমার থেকে পালাতে গিয়ে বিপজ্জনক ভাবে সমুদ্র পার হচ্ছেন বলেও জানা গেছে। যার জেরেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন ওই শরণার্থীরা।
২০১২ সালে রাখাইন প্রদেশে হিংসার ঘটনার পর থেকেই মায়ানমার থেকে পালাতে শুরু করেন হাজার হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী। ২০১৫ সালেই সবথেকে বেশি সংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থীরা সেদেশ ছাড়েন বলে খবর। প্রায় ২৫ হাজার মানুষ আন্দামান সমুদ্র পেরিয়ে থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়ায় পালিয়ে এসেছে। সমুদ্র পেরনোর সময় অনেকেই প্রয়োজনীয় সুরক্ষা না নিয়েই নৌকায় ওঠেন বলে জানা গেছে। এমনকি, বহু ক্ষেত্রে প্রাণভয়ে পালানোর জন্য নৌকায় অতিরিক্ত যাত্রী ওঠায় বিপদ বেড়েছে বৈ কমেনি।