কাশ্মীর উপত্যকায় সিআরপিএফ-ই সবচেয়ে বড় আধা সামরিক বাহিনী। তাদের প্রধান কাজ হল আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে অপারেশন চালানো এবং সেনা অপারেশনের সময়ে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সাহায্য করা। একটি অপারেশন শেষ হওয়ার পরে উত্তেজিত, পাথর-ছোড়া জনতাকে বাগে আনার কাজ সিআরপিএফের ওপরেই ন্যস্ত থাকে। বৃহস্পতিবারের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন কুড়িজনেরও বেশি জওয়ান।
গোটা রাজ্যে ৬০ হাজারেরও বেশি সিআরপিএফ কর্মী নিযুক্ত রয়েছেন। কাশ্মীরের সমস্ত জেলাতেই তাঁদের কাজে লাগানো হয়ে থাকে।
২০০৫ সালের আগে পর্যন্ত আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকত বিএসএফ। কিন্তু এখন বিএসএফ কেবল মাত্র সীমান্তেই নিযুক্ত, সীমান্ত পাহারা দেওয়াই তাদের এক মাত্র কাজ, আইন শৃঙ্খলা রক্ষার ব্যাপারে তাদের কোনও দায়িত্ব নেই।
শেষবার সিআরপিএফ জওয়ানদের ওপর আক্রমণ হয়েছিল গত বছরের জুলাই মাসে, অনন্তনাগে সিআরপিএফের একটি পিকেটে হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। তার আগে, গত বছরেরই ফেব্রুয়ারি মাসে শ্রীনগরে সিআরপিএফ ক্যাম্পে হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। ৩০ ঘণ্টা গুলিযুদ্ধের পর পরিস্থিতি আয়ত্তে আসে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবারের হানা ঘটিয়েছে জৈশ-এ-মহম্মদের একজন আত্মঘাতী জঙ্গি। বিস্ফোরক বোঝাই একটি গাড়ি নিয়ে সে সরাসরি ধাক্কা মারে সিআরপিএফের বাসে। তবে এই আক্রমণের ব্যাপারে সরকারি ভাবে ঘটনার ৩ ঘন্টা কেটে যাওয়ার পরেও কেউ মুখ খোলেনি।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উপত্যকায় খুব বেশি সংখ্যায় আইইডি হামলা ঘটেনি, ১৯৯০ সালে যা প্রায় নৈমিত্তিক ঘটনা ছিল। ২০১৭ সালে আইইডি হামলা ঘটেছিল মাত্র একটি। ২০১৮ সালে আইইডি হামলা ঘটেছে ১০টিরও কম।