রোজভ্যালিকাণ্ডে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হাতে গ্রেফতার হল স্বঘোষিত ব্যবসায়ী সুদীপ্ত রায়চৌধুরী। গ্রেফতারির সময় সুদীপ্ত ইডি আধিকারিকদের হুমকি দিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। মূলত রোজভ্যালি কাণ্ডে রবিবার তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর। এই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ বেনামি সম্পত্তির অভিযোগ রয়েছে। তার ১৩টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সিইজ করা হয়েছে এবং তার থেকে ২৫-২৬টি ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, সুদীপ্তকে আদালতে তোলার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে চাইবে ইডি।
ব্যবসায়ী সুদীপ্ত রায়চৌধুরী।
রোজভ্যালি এবং অন্যান্য চিটফান্ডের টাকা সুদীপ্ত রায়চৌধুরী বেনামি সম্পত্তির লেনদেনে ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ। ইডি ও সিবিআই-এর ভয় দেখিয়ে টাকা তোলার অভিযোগও রয়েছে তার নামে। অনুমান করা হচ্ছে, গ্রেফতারির আগে প্রায় ১০০ কোটি টাকা তুলে ফেলেছে সে। সূত্রের খবর, সুদীপ্তর মাধ্যমে রোজভ্যালির টাকা প্রোমোটিং-এর কাজে লাগানো হত। এছাড়া, প্রভাবশালীদের সঙ্গে জোগসূত্র রেখে মধ্যস্থতা করার কথা বলেও বাজার থেকে টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে এই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। তাকে জেরা করে রোজভ্যালির টাকার হদিশ পাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
চিটফান্ড তদন্তে যে সিবিআই-ইডি গতি বাড়াবে, সে কথা শোনা যাচ্ছিল পুজোর আগে থেকেই। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে সল্টলেকের সিডিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতরে বৈঠকে বসেন শীর্য তদন্তকারীরা। এই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন ইডি-র এক উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিকও। জানা যাচ্ছিল, তদন্তকারীদের আতসকাচের নীচে রয়েছে একাধিক সন্দেহভাজন। আর এরমধ্যেই রবিবার গ্রেফতার হল ব্যবসায়ী সুদীপ্ত রায়চৌধুরী।
উল্লেখ্য, দুর্গাপুজোর মুখে রোজ ভ্য়ালি কান্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সুদীপ বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। সিবিআইও দফায় দফায় সারদা-কান্ডে অভিযুক্তদের নতুন করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছিল। অর্থাৎ রোজ ভ্য়ালি ও সারদা তদন্তে গতি বাড়িয়েছিল দুই তদন্তকারি সংস্থাই। এরপর দিল্লিতে সিবিআই-এর শীর্ষ স্তরে ডামাডোলের জেরে কলকাতাতে চিটফান্ড তদন্তের কি হাল হবে তা নিয়ে সংশয়ে তৈরি হলেও এখন বোঝা যাচ্ছে যে হাত গুটিয়ে নেই কেন্দ্রীয় সংস্থা।