পচা মাংস কারবারের ঘটনায় আরও ৬ জনকে গ্রেফতার করা হল। গতরাতে অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে জানালেন ডায়মন্ডহারবার পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও। ৬ জনকে পাকড়াও করে মোট ২০ টন মাংস উদ্ধার করেছে বলে এদিন জানিয়েছেন পুলিশ সুপার। গতকাল পুলিশের চারটি দল প্রথমে নারকেলডাঙার হিমঘরে হানা দেয়। হানা দেওয়া হয় ট্যাংরা, কাঁকিনাড়া, জগদ্দল-ভাটপাড়া ও কল্যাণীতে। কলকাতা পুলিশ ও ডায়মন্ডহারবার পুলিশের যৌথ অভিযানে ১ হাজার মাংসের প্যাকেট গতরাতে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতিটি প্যাকেটে ২০ কেজি করে মাংস রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার। উদ্ধার হওয়া মাংসে কী রাসায়নিক রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এজন্য উদ্ধার হওয়া মাংসগুলি ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। আটক হওয়া মাংস পরীক্ষার পরই এ ব্যাপারে স্পষ্ট হওয়া যাবে।
পচা মাংস কারবার কীভাবে চলত, তা নিয়ে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ভাগাড় থেকে মরা পশুর মাংস সংগ্রহ করে তা নারকেলডাঙার একটি হিমঘরে প্রসেসিং করা হত। মাংসগুলিতে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিকও মেশানো হত। পরে ওই মাংসগুলি বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করত ধৃতরা। বিভিন্ন ভাগাড়ে পচা মাংস কারবারীরা নিজেদের লোক রাখত। পশুর মৃতদেহ ভাগাড়ে ফেলার পরেই তা কেটে নিয়ে গাড়িতে করে নারকেলডাঙার হিমঘরে পাঠানো হত প্রক্রিয়াকরণের জন্য। এরপর ওই মাংস প্যাকেটে করে বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করা হত বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
অন্যদিকে, টাটকা মাংসের সঙ্গে পচা মাংস মিশিয়ে বিক্রি করা হত কিনা, সে ব্যাপারে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও। বজবজের পাশাপাশি পচা মাংস কারবারে পুলিশের নজরে রয়েছে ট্যাংরা, সোদপুর, ধাপা, সোনারপুরের ভাগাড়ও।
ভাগাড় থেকে এভাবে পচা মাংস কারবার নিয়ে ইতিমধ্যেই পুরসভাকে জানানো হয়েছে বলে এদিন জানিয়েছেন এসপি।
পচা মাংস কারবারে এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। গতরাতে ৬ জনকে গ্রেফতারের আগে আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।