ভাগাড়ে পচা মাংসকাণ্ডে এবার পথে নামল বিজেপি ও কংগ্রেস
ভাগাড়ে পচা মাংসকাণ্ডে এবার পথে নামল বিজেপি ও কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার কলকাতা পুরসভার সামনে বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি। অন্যদিকে দলীয় দফতর বিধান ভবন থেকে মৌলালি পর্যন্ত মিছিল করে কংগ্রেস।
ভাগাড়ে পচা মাংসকাণ্ডে এবার পথে নামল বিজেপি ও কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার কলকাতা পুরসভার সামনে বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি। অন্যদিকে দলীয় দফতর বিধান ভবন থেকে মৌলালি পর্যন্ত মিছিল করল কংগ্রেস নেতৃত্ব।
Advertisment
পচা মাংসকাণ্ডে পুরসভার ভূমিকার সমালোচনা করে রাজপথে নামে গেরুয়াবাহিনী। কলকাতা পুরসভার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও বাধে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে। ভাগাড়ের ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি ওঠে বিজেপির বিক্ষোভে। ব্যানার, প্ল্যাকার্ড, কুকুরের প্রতিকৃতি নিয়ে বিক্ষোভে শামিল হন বিজেপি কর্মীরা।
ভাগাড়ে পচা মাংসকাণ্ডের তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছে পুলিশ। অভিযোগ, পচা মাংস কারবার চক্রের সঙ্গে যোগসাজশ রয়েছে পুরকর্মীদের একাংশের। কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকার ভাগাড়ে পশুর মৃতদেহ ফেলা হলেই কয়েকজন পুরকর্মী মারফত খবর পৌঁছে যেত পচা মাংস কারবারিদের কাছে। এজন্য ৫০ থেকে ১০০ টাকা মতো বকশিস পেতেন ওই পুরকর্মীরা, এমনটাই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। রীতিমতো আঁটঘাট বেঁধেই পশুর মাংস বাজারে সরবরাহ করা হত। পশুর মাংসে ফর্মালিন, অ্যালুমিনিয়াম সালফেটের মতো রাসায়নিক মিশিয়ে প্রক্রিয়াকরণ করে তা হিমঘরে সংরক্ষণ করা হত। যা পরে কলকাতার বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় পাঠানো হত।
এ ঘটনায় পুলিশের নজরে রয়েছে একটি পোলট্রি ফার্মের মালিক। কৌশর আলি ঢাল নামে ওই ব্যক্তির নাগাল পেলে এ ঘটনায় আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে মিলবে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় মরা মুরগির মাংস সরবরাহের পিছনে কৌশরের হাত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। শনিবার ওই খামারে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথি মিলেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। পচা মাংস সরবরাহকারীদের মধ্যে কৌশরই নাটের গুরু বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিশ।
এ ঘটনার কিংপিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডায়মন্ডহারবার পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও। কলকাতা ও বিভিন্ন জেলা থেকে কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। গত ২৫ এপ্রিল এ ঘটনার কিংপিন সানি মল্লিককে বিহার থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। প্রাক্তন কাউন্সিলর মানিক মুখোপাধ্যায়সহ এ ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা ১০ জনেরও বেশি।