বিয়ের অনুদানের জন্য ‘প্রেগনেন্সি টেস্ট’? বিতর্কের মুখে জেলাশাসকের আজব সাফাই ঘিরে উত্তাল মধ্যপ্রদেশ। বিরোধী কংগ্রেসের অভিযোগ, বিজেপি নেতৃত্বাধীন মধ্যপ্রদেশে বিয়ের জন্য সরকারি অনুদান পাওয়ার জন্য ২০০ জন তরুণীকে প্রেগনেন্সি টেস্ট করানো হয়, অভিযোগ ঘিরে ধুন্ধুমার! যদিও রাজ্য সরকার এখনও এই বিষয়ে কোনও বিবৃতি দেয় নি।
স্থানীয় এক বিজেপি নেতা্র কথায়, 'সরকারি অনুদানের জন্য মেয়েদের শুধুমাত্র একটি 'ফিটনেস টেস্ট' এর আয়োজন করা হয়। সেই সময় দেখা যায় বেশ কয়েকজন মহিলা গর্ভবতী ছিলেন'। শনিবার ডিন্ডোরি জেলায় একটি গণবিবাহ অনুষ্ঠানের আগে প্রায় ২০০ মহিলাকে ‘প্রেগনেন্সি টেস্ট’ করানো হয় বলে জানা গিয়েছে।
কংগ্রেসের স্থানীয় বিধায়ক ওমকার সিং মারকাম বলেছেন যে তিনি তথ্য পেয়েছেন যে মহিলাদের ফিটনেস টেস্টের নামে প্রেগনেন্সি টেস্ট করানো হয়েছে। তিনি দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, “আমার কাছে তথ্য আছে যে চারজন মহিলাকে প্রকল্পের আওতায় সুবিধা দেওয়া হয়নি। যা মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘনের সামিল এবং মহিলাদের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করা হয়েছে। আমি মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর সামনেও বিষয়টি তুলে ধরব।” তিনি আরও বলেন, 'সরকারি অনুদান পেতে এই ধরণের কোন পরীক্ষার আইনি অনুমোদন আছে কিনা তা সরকারকে অবশ্যই স্পষ্ট করতে হবে"।
এবিষয়ে জেলাশাসক বলেন, সিকেল সেল অ্যানিমিয়ার প্রকোপ জেলায় বেড়েছে। তাই বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সরকারি এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে চান এমন মহিলাদের 'কুমারীত্ব পরীক্ষা' বা 'গর্ভাবস্থা পরীক্ষা'কোন ভাবেই বাধ্যতামূলক নয়। এই ধরনের কোন পরীক্ষা হয় নি, কোথাও একটা যোগাযোগের অভাব হয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে"।