দিল্লি পুলিশের বড়সড় সাফল্য! ২৭ বছর ধরে প্রায় ৫ হাজারের বেশি গাড়ি চুরি চক্রের মাথা অনিল চৌহানকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। দিল্লি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ১৯৯৫ সাল থেকে দেশের নানান প্রান্ত থেকে গাড়ি চুরি কারবারে জড়িত ছিলেন তিনি। তার বিরুদ্ধে ৫ হাজারের বেশি গাড়ি চুরির অভিযোগ রয়েছে। গাড়ি চুরি ছাড়াও অস্ত্র আইন ও চোরাচালানের একাধিক মামলা রয়েছে অনিলের বিরুদ্ধে।
উদ্ধার করা হয়েছে দেশীয় পিস্তল ও কার্তুজ
দিল্লি পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত অনিল চৌহানকে গ্রেফতার করে। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি দেশি পিস্তল, দুটি কার্তুজ এবং একটি চোরাই মোটরসাইকেল বেশ কিছু জাল লাইসেন্স ও নথি।
অনিল চৌহান আসামের তেজপুরের বাসিন্দা
আসামের তেজপুরের বাসিন্দা অনিল দীর্ঘদিন ধরেই দিল্লির খানপুর এলাকায় থাকতেন। পুলিশ জানিয়েছে ৫২ বছর বয়সী অনিলের দিল্লি, মুম্বাই এবং উত্তর-পূর্বে বেশ কিছু সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। এর আগেও পুলিশ বেশ কয়েকবার অনিলকে গ্রেফতার করে। এবং
তিন স্ত্রী ও সাত সন্তান সহ সুখের সংসার অনিলের
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে অনিল আসামের ঠিকাদারির কাজ করতেন। একই সময়ে তিনি গন্ডারের শিং পাচার করতেন। তিনি অবৈধ অস্ত্রও লেনদেনের কাজেও অনিল জড়িত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে মোট ১৮১ টি মামলা রয়েছে। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) অনিল চৌহানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তার ১০ কোটির বাংলো বাজেয়াপ্ত করে।
দিল্লিতে অটো চালাতেন অনিল
৯০ এর দশকের শুরুতে দিল্লিতে আসেন অনিল। দিল্লিতে এসে খানপুর এলাকায় থাকতে শুরু করেন। বেশ কয়েক বছর অটো চালাতেন তিনি। ধীরে ধীরে আবারও অপরাধ জগতে চলে আসেন। অনিলের বিরুদ্ধে আসাম, দিল্লি, মহারাষ্ট্র সহ দেশের অনেক জায়গা থেকে প্রায় ৫ হাজার গাড়ি চুরির অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন : < ফেলে দেওয়া সামগ্রী দিয়েই গড়লেন দুর্গাপ্রতিমা, বিক্রির টাকায় অসহায় মানুষের পাশে ‘ভাগাড়ের মা’! >
কয়েকজন ট্যাক্সি ড্রাইভারকে হত্যা করেছে
পুলিশ বলছে, অনিল বেশ কয়েকজন ট্যাক্সি চালককেও হত্যা করেছে। ২০১৫ সালে, অনিলকে আসাম পুলিশ গ্রেফতার করে । পাঁচ বছরের জেল খেটে ২০২০ সালেই তিনি মুক্তি পান।
সবচেয়ে বড় গাড়ি চোর কিভাবে ধরা পড়ল?
অনিল চৌহানকে 'দেশের সবচেয়ে বড় গাড়ি চোর' এমনটাই জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ। । ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (সেন্ট্রাল) শ্বেতা চৌহান বলেছেন যে সাম্প্রতিক কালে দিল্লিতে অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ীদের রমরমা বাড়তে থাকায়,পুলিশি অভিযানও জোরদার করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে অনিলও সেই ব্যবসায়ে জড়িত। এরপরই অনিলকে ধরতে পুলিশ পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে অভিযান চালায় এবং ২৩ আগস্ট তাকে গ্রেফতার করা হয়।