Advertisment

৮,১০০ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতি; স্টার্লিং বায়োটেকের পলাতক প্রোমোটারদের খোঁজে ইডি

দেশজ ব্যাঙ্কের কাছ থেকে ৩৬৭৫ কোটি টাকার এবং বিদেশি ব্যাঙ্কের কাছ থেকে ৪৪২৫ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছিল স্টার্লিং গোষ্ঠী। বর্তমানে অন্ধ্র ব্যাঙ্ক এবং তার অধীনে থাকা ব্যাঙ্ক মিলে স্টার্লিং গোষ্ঠীর বকেয়ার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩৭৫৪ কোটি টাকায়

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ফাইল চিত্র- ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

৮,১০০ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতির দায়ে শুক্রবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট গুজরাতের স্টার্লিং বায়োটেক গোষ্ঠীর প্রোমোটারদের পলাতক ঘোষণা করল। নিতিন, চেতন এবং দীপ্তি সানদেসারার ও হিতেশ পাটেলের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনের চার নম্বর ধারা অনুযায়ী অভিযোগ দায়ের করেছে ইডি। এর আগে সানদেসারা পরিবারের বিরুদ্ধে ৮,০০০ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের অভিযোগ দায়ের করেছিল ইডি।

Advertisment

ইডি-র এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন, "চারজন সদস্যই স্টার্লিং বায়োটেক গোষ্ঠীর প্রোমোটার ছিলেন। অপরাধী আইনের আওতায় তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হওয়ার আগেই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। পলাতক আইনের আওতায় ভদোদরার ব্যবসায়ী সানদেসারা পরিবারের ৫,০০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট।

আরও পড়ুন: অলোক ভার্মাকে পদে ফেরানোর দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়ে রাহুলের কারাবরণ

দায়ের করা অভিযোগ অনুযায়ী স্টার্লিং বায়োটেকের সদস্যরা ব্যাঙ্কের সঙ্গে প্রতারণার উদ্দেশ্যে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করেছিলেন। তাঁরা তাঁদের সংস্থার যাবতীয় খরচা মূল অংকের তুলনায় অনেক বেশি দেখিয়ে ব্যাঙ্কের থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ আদায় করেছিলেন। যে কারণ দেখিয়ে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়া হয়েছিল, সেই খাতে বিনিয়োগ করাও হয়নি ওই টাকা। ইডি-র বিবৃতি অনুযায়ী, "৮,১০০ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতি হয়েছে এবং সেক্ষেত্রে ভারতীয় ব্যাঙ্কের বিদেশে অবস্থিত শাখাগুলিকেও ব্যবহার করা হয়েছে। দেশজ ব্যাঙ্কের কাছ থেকে ৩,৬৭৫ কোটি টাকার এবং বিদেশি ব্যাঙ্কের কাছ থেকে ৪,৪২৫ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছিল স্টার্লিং গোষ্ঠী। বর্তমানে অন্ধ্র ব্যাঙ্ক এবং তার অধীনে থাকা ব্যাঙ্ক মিলিয়ে স্টার্লিং গোষ্ঠীর বকেয়ার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩,৭৫৪ কোটি টাকায়।"

Advertisment

প্রসঙ্গত, স্টার্লিং বায়োটেক কাণ্ডে সদ্য অপসারিত হওয়া সিবিআই আধিকারিক রাকেশ আস্থানার ভূমিকা খতিয়ে দেখছে খোদ সিবিআই। অন্যদিকে, সম্প্রতি রাকেশ আস্থানা সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছেন, সানদেসারা পরিবারের ঘনিষ্ঠ দুই সিবিআই আধিকারিকের থেকে নজর ঘোরাতে সিবিআই যুগ্ম ডিরেক্টর এ কে শর্মা তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন।

Read the full story in English

Enforcement Directorate
Advertisment