রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডলারে চিরাচরিত গেরুয়া পতাকার বদলে তেরঙার ছবি দেখা যাচ্ছে ৷ স্বাধীনতার ৭৫ বছর উদযাপনে দেশজুড়ে চলছে 'আজাদি কা অমৃত মহোৎসব'কর্মসূচি ৷ 'হর ঘর তিরঙ্গা' তারই অন্যতম৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশবাসীকে ২ অগস্ট থেকে ১৫ অগাস্টের মধ্যে সোশাল মিডিয়ার প্রোফাইলে জাতীয় পতাকার ছবি দিতে অনুরোধ করেছিলেন ৷ ইতিমধ্যে কংগ্রেস তাদের সোশাল মিডিয়ার প্রোফাইলে জওহরলাল নেহরুর হাতে জাতীয় পতাকা ধরা ছবি দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সহ বিজেপি নেতৃত্বরা অনেক আগেই তাঁদের প্রোফাইলের ছবিটি পাল্টে ফেলেছেন৷ স্বাধীনতা দিবসের ঠিক দু'দিন আগে, শুক্রবার আরএসএস তাদের প্রোফাইলে ভারতের জাতীয় পতাকার ছবি দিল ৷
কেন প্রধানমন্ত্রী আর্জি মেনে বিজেপির ধাত্রী সংগঠন আরএসএস ২রা আগাস্ট নিজেদের সোশাল মিডিয়া প্রোফাইলের ডিসপ্লে পিকচার বদলাল না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। কটাক্ষ করেছিল কংগ্রেস। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ আরএসএস-এর জাতীয় পতাকা উত্তোলন নিয়ে প্রশ্ন তুলে টুইটারে লিখেছিলেন, 'নাগপুরে সংগঠনের সদর দফতরে বিগত ৫২ বছর ধরে তেরঙা উত্তোলন করা হয়নি ৷ তারা প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে সোশাল মিডিয়ার প্রোফাইলে ভারতের জাতীয় পতাকার ছবি লাগাবে কী করে?'
টুইটারে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন লিখেছিলেন, 'স্বাধীনতা দিবসে আমার প্রোফাইল পিকচার খুঁজছি। যদি আপনাদের কারও কাছে সাভারকার, মুখার্জি, গোলওয়ালকার, হেডগেওয়ারের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার ছবি থাকে দয়া করে আমায় পাঠাবেন। গত ৫০ বছর ধরে নিজেদের সংগঠনের সদর দফতরে তেরঙ্গা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেনি আরএসএস।'
এসব বিতর্কের মধ্যেই শুক্রবার আরএসেসর প্রচার বিভাগের কো-ইনচার্জ নরেন্দ্র ঠাকুর জানিয়েছিলেন, সঙ্ঘ তাদের প্রতিটি অফিসে ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস পালন করবে ৷ 'হর ঘর তিরঙ্গা' প্রচারে সঙ্ঘের কর্মীরা সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করেছে ৷ আরএসএসের প্রচার বিভাগের প্রধান সুনীল আম্বেদকর জানিয়েছিলেন জাতীয় পতাকা নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয় ৷