লোকসভায় আরটিআই সংশোধনী বিল পাশ হওয়ার পরদিনই তীব্র প্রতিবাদ উঠল বিরোধীদের মধ্যে থেকে। মঙ্গলবার ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী বলেছেন, এই সরকার তথ্য জানার অধিকার সম্পর্কিত আইনকে উপদ্রব হিসেবে মনে করে। ফলে এ আইন বাতিল হওয়ার মুখে দাঁড়িয়ে। সোনিয়ার অভিযোগ সরকার কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের অবস্থান ও স্বাধীনতা ধ্বংস করতে চায়।
এক বিবৃতিতে সোনিয়া বলেছেন, "কেন্দ্রীয় সরকার ২০০৫ সালের তথ্যের অধিকার আইনকে ধ্বংস করতে চাইছে। এটা অতীব আশঙ্কার বিষয়। এ আইন বিবিধস্তরে আলোচনার পর তৈরি করা হয়েছিল এবং সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হয়েছিল। সেই আইন আজ বিলোপের মুখে।"
তথ্যের অধিকার আইন কীভাবে মহিলা ও সমাজের দুর্বলতর শ্রেণির উপকার করেছে, সে নিয়ে বলতে গিয়ে ইউপিএ চেয়ারপার্সন বলেছেন, "গত এক দশকের বেশি সময় ধরে আমাদের দেশে ৬০ লক্ষ পুরুষ ও মহিলা এই আইন ব্যবহার করেছেন। সর্বস্তরে স্বচ্ছতার এক নয়া সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। ফলে আমাদের গণতন্ত্র শক্তিশালী হয়েছে। আরটিআই অ্যাক্টিভিস্ট ও অন্যান্যদের ভূমিকায় দেশের দুর্বলতর শ্রেণি ব্যাপক উপকৃত হয়েছেন।"
সোমবার বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার আরটিআই আইনে সংশোধনীর প্রস্তাব রেখেছে। কেন্দ্রকে তথ্য কমিশনারের বেতন, সময়কাল, কাজের শর্তাবলী স্থির করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে এই সংশোধনীতে। বিরোধীরা এই বিল নিয়ে ভোটাভুটির আহ্বান করায় ২১৮-৭৯ ভোটে বিল পাশ হয়ে যায়।
২০০৫ সালের তথ্যের অধিকার আইনের ১৩ ও ১৬ নং ধারায় সংশোধনী আনা হয়েছে। মূল আইনের ১৩ নং ধারায় মুখ্য তথ্য কমিশনার ও তথ্য কমিশনারদের কার্যকালের মেয়াদ ছিল পাঁচ বছর (অথবা তাঁদের ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত)। সংশোধনীতে বলা হয়েছে, এই মেয়াদের সময় কেন্দ্রীয় সরকার স্থির করবে। ১৩ নং ধারায় বলা ছিল তাঁদের বেতন, ভাতা ও কাজের শর্তাবলী হবে নির্বাচন কমিশনারের সমতুল। সংশোধনীতে বলা হয়েছে, তাঁদের বেতন, ভাতা ও অন্যান্য কাজের শর্তাবলী কেন্দ্রীয় সরকার স্থির করতে পারবে।
Read the Full Story in English