সপ্তাহ দুই বেশ ঢিমে তালে হলেও একটানা বাড়ছিল টাকার দাম। ফের মঙ্গলবার মার্কিন ডলার পিছু টাকার দাম পড়ল। এ দিন সকালে শেয়ার বাজার খোলার পর পর ৩৩ পয়েন্ট পড়ে যায় টাকার দাম। বর্তমানে টাকার দাম মার্কিন ডলার পিছু ৭২ টাকা ৯৬ পয়সা।
টাকার দামের ক্রমাগত পতনে চিন্তিত দেশের অর্থনীতিবিদরা। অধিকাংশের বিশ্লেষণ বলছে, একদিকে যেমন মার্কিন ডলারের চাহিদা বাড়ছে, অন্যদিকে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়ছে আন্তর্জাতিক বাজারে। স্বভাবতই ভারতের তেল পরিশোধনকারী সংস্থাকে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে মার্কিন ডলারের বিনিময়েই কিনতে হচ্ছে তেল। টাকার দাম পড়ে যাওয়ার পেছনে রয়েছে এইসব কারণ। আন্তর্জাতিক বাজারে তেল সরবরাহকারী দেশগুলির মধ্যে ইরান অন্যতম। অথচ সেই ইরানের তেল সরবরাহের ওপরেই নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেক্ষেত্রে তেলের মন্দা দেখা দিতে পারে, এই আশঙ্কা থেকে সাত তাড়াতাড়ি বেশি পরিমাণ অপরিশোধিত তেল কিনতে চাইছে বাকি দেশ। তাই ক্রমশ চাহিদা বাড়ায় দাম বাড়ছে তেলেরও। স্বাভাবিকভাবেই মার্কিন ডলারের তুলনায় পড়ছে ভারতীয় টাকার দাম।
আরও পড়ুন, টানা ২ সপ্তাহ ধরে ঊর্ধ্বমুখী টাকার দাম
এশিয়া মহাদেশের দেশগুলির মধ্যে ভারতীয় টাকার দামই সবচেয়ে বেশি পড়েছে। পতনের হার ৯.৯০ শতাংশ। চলতি মাসেই টাকার দাম পড়েছে ৩.৩০ শতাংশ।
অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেছেন, টাকার দাম পড়ার পেছনে সবটাই ‘বাহ্যিক কারণ’। আন্তর্জাতিক সংকটকেও দায়ী করেছেন তিনি। আশ্বাস দিয়েছেন দেশের আভ্যন্তরীণ অর্থনীতি মজবুত রয়েছে। তবে শেয়ার বাজার বিশেষজ্ঞরা প্রমাদ গুনছেন অন্য জায়গায়। তাঁরা বলছেন, মার্কিন মুদ্রার পাশাপাশি যদি প্রতিদ্বন্দ্বী অর্থনীতির চাহিদা বাড়ত, সেক্ষেত্রে টাকার দাম আরও পড়লেও চিন্তার তেমন কারণ ছিল না। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। মার্কিন ডলারের চাহিদাই কেবল চড়চড় করে বাড়ছে।