সোমবার সকালে শেয়ার বাজার খোলার সঙ্গে সঙ্গে মার্কিন ডলার পিছু বাড়ল টাকার দাম। ভারতীয় টাকার দাম বেড়ে দাঁড়াল ৭৪ টাকা ৩৪ পয়সা প্রতি মার্কিন ডলার।
ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলাররা বলছেন, বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনীতিগুলো বিগত সপ্তাহে বেশ ফুলে ফেঁপে উঠেছে মার্কিন ডলারের তুলনায়। মার্কিন অর্থনীতিতে সামান্য মন্দার কারণেই ভারতীয় টাকার দাম বেড়েছে। রফতানিকারক এবং ব্যাঙ্কগুলোর কাছে মার্কিন মুদ্রা বিক্রি করে সোমবার সামান্য বাড়ল টাকার দাম। বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে সেনসেক্স ৩২১.৪১ পয়েন্ট বেড়ে ৩৪৬৩৭.০৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
বিগত দু'মাস ধরে টাকার দাম ক্রমশ পড়ে যাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন অর্থনীতিবিদরা। দেশের অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, টাকার দাম কমার ফলস্বরূপ আরবিআই বাড়াতে পারে ঋণের ওপর সুদের হার। গত মাসেই রেপো রেট (যে হারে দেশের বাকি ব্যাঙ্কগুলোকে ঋণ দেয় আরবিআই) ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়েছে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। বর্তমানে রেপো রেটের পরিমাণ ৬.৫০। এই সপ্তাহেও টাকার দাম ক্রমশ কমতে থাকায় খুব শিগগির বেসিস পয়েন্ট বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেছিলেন অনেকেই। কিন্তু আরবিআই সে সব কিছুই করেনি। আর্থিক বিবৃতে আরবিআই জানিয়েছে, যাবতীয় সুদের হার আপাতত অপরিবর্তিতই থাকছে।
অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেছেন, টাকার দাম পড়ার পেছনে সবটাই ‘বাহ্যিক কারণ’। আন্তর্জাতিক সংকটকেও দায়ী করেছেন তিনি। আশ্বাস দিয়েছেন, দেশের আভ্যন্তরীণ অর্থনীতি মজবুত রয়েছে। তবে শেয়ার বাজার বিশেষজ্ঞরা প্রমাদ গুনেছিলেন অন্যখানে। তাঁরা বলেছিলেন, মার্কিন মুদ্রার পাশাপাশি যদি প্রতিদ্বন্দ্বী অর্থনীতির চাহিদা বাড়ত, সেক্ষেত্রে টাকার দাম আরও পড়লেও চিন্তার তেমন কারণ ছিল না। কিন্তু বাস্তবে এতদিন তা হয়নি, এই প্রথম হল সোমবার।
Read the original story in english