সকালটা শুরু হয়েছিল পেট্রোল-ডিজেলের আকাশ ছোঁয়া দামের খবরটা দিয়েই। শুক্রবারের বিকেলের শেয়ার বাজারে যে খবরটা ঘুরছে হাওয়ায় হাওয়ায়, সেটা শুনে শুনে অভ্যেস হয়ে গেছে গত মাস কয়েকে। আরও পড়ল টাকার দাম। প্রতি মার্কিন ডলার পিছু ৩৭ পয়সা কমল টাকার দাম। অর্থাৎ ১ মার্কিন ডলারের ভারতীয় মূল্য এখন ৭২ টাকা ১২ পয়সা। স্বাধীন ভারতে এই প্রথম এতটা পড়ে গেল টাকার দাম।
ভারতীয় বাজারে বিদেশি বিনিয়োগ কমে যাওয়ায় বিশেষজ্ঞদের কপালে ভাঁজ পড়েই ছিল। এখন সে ভাঁজ বাড়ছে। গত তিন মাসে বিদেশি লগ্নি কমেছে ৩৪ শতাংশ। কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ডেফিসিট বাড়তে থাকলে অপরিশোধিত তেলের দামও ক্রমশ বাড়তে থাকবে, এমন আশঙ্কা বেশির ভাগেরই।
অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেছেন, টাকার দাম পড়ার পেছনে সবটাই 'বাহ্যিক কারণ'। আন্তর্জাতিক সংকটকেও দায়ী করেছেন তিনি। আশ্বাস দিয়েছেন দেশের আভ্যন্তরীণ অর্থনীতি মজবুত রয়েছে। তবে শেয়ার বাজার বিশেষজ্ঞরা প্রমাদ গুনছেন অন্যখানে। তাঁরা বলছেন মার্কিন মুদ্রার পাশাপাশি যদি প্রতিদ্বন্দ্বী অর্থনীতির চাহিদা বাড়ত, সেক্ষেত্রে টাকার দাম আরও পড়লেও চিন্তার তেমন কারণ ছিল না। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। মার্কিন ডলারের চাহিদাই কেবল চড়চড় করে বাড়ছে।
সম্প্রতি কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, দেশের বৃদ্ধির হার ৮ শতাংশকে ছাপিয়ে গেছে। বিরোধীরা অবশ্য বলছেন একই সাথে হু হু করে কমা টাকার দাম আর পেট্রোল-ডিজেলের আকাশ ছোঁয়া দাম নিয়ে দেশের বৃদ্ধির হার ৮ শতাংশে পোঁছতে পারে কী ভাবে?
অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের আশঙ্কা, এরকম চলতে থাকলে খুব শিগগির দাম বাড়তে পারে খাদ্য পণ্যের।