Advertisment

মার্কিন ডলার পিছু রেকর্ড পড়ল ভারতীয় টাকার দাম, আজ ৭৩.৩৪

সপ্তাহের শুরুতেই সারা দেশে রান্নার গ্যাসের দাম এক লাফে অনেকটা বেড়েছে। পাশাপাশি, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর টাকার এতটা দাম পড়ার নজির নেই।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

শেয়ার বাজার খোলার পর পরই আশঙ্কায় থাকেন ভারতের ফরেন এক্সচেঞ্জ বা ফরেক্স ডিলাররা, আজ কতটা পড়বে টাকার দাম? এবং হ্যাঁ, বিগত কয়েকদিনের ট্র্যাডিশন মেনে বুধবার আরও পড়ল টাকার দাম। এদিন সকালে মার্কিন ডলার পিছু ভারতীয় টাকার দাম দাঁড়াল ৭৩ টাকা ৩৪ পয়সা। মঙ্গলবার বাজার বন্ধের সময় ডলার পিছু টাকার দাম ছিল ৭২ টাকা ৯১ পয়সা।

Advertisment

একই সঙ্গে একদিকে দেশ জুড়ে বাড়ছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম, অন্যদিকে মার্কিন ডলার পিছু কমছে ভারতীয় টাকার দাম। সপ্তাহের শুরুতেই সারা দেশে রান্নার গ্যাসের দাম এক লাফে অনেকটা বেড়েছে। পাশাপাশি, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর টাকার এতটা দাম পড়ার নজির নেই। ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলাররাও বলছেন, মার্কিন ডলারের চাহিদা এমনিতেই বাড়ছে। বিদেশ থেকে মার্কিন ডলারের বিনিময়ে তেল কিনতে হয় বিভিন্ন সংস্থাকে। এছাড়া চিনের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক খারাপ হওয়ার ফলে তারও ছাপ পড়ছে আন্তর্জাতিক বাজারে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, টাকার দাম কমার ফলস্বরূপ ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলো বাড়াতে পারে ঋণের ওপর সুদের হার।

আরও পড়ুন, বকেয়া টাকা না মেটালে দেশ ছাড়তে পারবেন না অনিল আম্বানি

অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেছেন, টাকার দাম পড়ার পেছনে সবটাই ‘বাহ্যিক কারণ’। আন্তর্জাতিক সংকটকেও দায়ী করেছেন তিনি। আশ্বাস দিয়েছেন, দেশের আভ্যন্তরীণ অর্থনীতি মজবুত রয়েছে। তবে শেয়ার বাজার বিশেষজ্ঞরা প্রমাদ গুনছেন অন্যখানে। তাঁরা বলছেন মার্কিন মুদ্রার পাশাপাশি যদি প্রতিদ্বন্দ্বী অর্থনীতির চাহিদা বাড়ত, সেক্ষেত্রে টাকার দাম আরও পড়লেও চিন্তার তেমন কারণ ছিল না। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। মার্কিন ডলারের চাহিদাই কেবল চড়চড় করে বাড়ছে।

টাকার দামের ক্রমাগত পতনে চিন্তিত দেশের অর্থনীতিবিদরা। অধিকাংশের বিশ্লেষণ বলছে, একদিকে যেমন মার্কিন ডলারের চাহিদা বাড়ছে, অন্যদিকে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়ছে আন্তর্জাতিক বাজারে। স্বভাবতই ভারতের তেল পরিশোধনকারী সংস্থাকে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে মার্কিন ডলারের বিনিময়েই কিনতে হচ্ছে তেল। টাকার দাম পড়ে যাওয়ার পেছনে রয়েছে এইসব কারণ। আন্তর্জাতিক বাজারে তেল সরবরাহকারী দেশগুলির মধ্যে ইরান অন্যতম। অথচ সেই ইরানের তেল সরবরাহের ওপরেই নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেক্ষেত্রে তেলের মন্দা দেখা দিতে পারে, এই আশঙ্কা থেকে সাত তাড়াতাড়ি বেশি পরিমাণ অপরিশোধিত তেল কিনতে চাইছে বাকি দেশ। তাই ক্রমশ চাহিদা বাড়ায় দাম বাড়ছে তেলেরও। স্বাভাবিকভাবেই মার্কিন ডলারের তুলনায় পড়ছে ভারতীয় টাকার দাম।

indian currency
Advertisment