কেন্দ্রীয় গ্রামীণ উন্নয়ন মন্ত্রক থেকে জানানো হল ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি অ্যাক্টের আওতায় গ্রামীণ ভারতের অদক্ষ শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির হার সর্বনিম্ন। আগামী ১ এপ্রিল থেকে দেশের ছ'টি রাজ্যের শ্রমিকদের দৈনিক মজুরিতে কোনও বৃদ্ধি হবে না। অন্যান্য রাজ্যে দৈনিক মজুরিতে ১ থেকে ৫ টাকা বৃদ্ধি হচ্ছে।
কর্ণাটক, কেরালা, পশ্চিমবঙ্গের অদক্ষ শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি অপরিবর্তিত থাকছে। হিমাচলপ্রদেশ আর পাঞ্জাবে দৈনিক মজুরি বৃদ্ধি হচ্ছে ১ টাকা। মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিসগড়ে মজুরি বৃদ্ধির পরিমাণ ২ টাকা।
বিগত কয়েক বছর ধরে ক্রমেই কমছে গড় মজুরি বৃদ্ধির হার। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে গড় বেতন বৃদ্ধির পরিমাণ ছিল ২.৯ শতাংশ। তার পরের বছর ছিল ২.৭ শতাংশ। কেন্দ্রীয় গ্রামীণ উন্নয়ন মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে আসন্ন নতুন অর্থবর্ষে এই বৃদ্ধির হার আরও কমে দাঁড়াবে ২.১৬ শতাংশে। অন্যদিকে, ২০১০-১১ অর্থবর্ষ থেকেই কেন্দ্রের এনআরইজি প্রকল্পের আওতায় আসতে শুরু করা শ্রমিকের সংখ্যাটা ক্রমশ বাড়ছে। গত বছর এই প্রকল্পভুক্ত শ্রমিকের সংখ্যা ছিল ২৩৩ কোটি। এ বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫৭ কোটিতে।
আরও পড়ুন, পুলিশের হাতে আটক বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ জঁ দ্রেজে
ঝাড়খণ্ড এবং বিহারে এই প্রকল্পভুক্ত শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি সর্বনিম্ন- ১৭১ টাকা। মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিসগড়ে ১৭৬ টাকা। কেরালায় দৈনিক মজুরি ২৭১ টাকা, হরিয়ানায় ২৮৪ টাকা।
মহেন্দ্র দেব প্যানেলের রিপোর্ট অনুযায়ী রাজ্যে কৃষিক্ষেত্রে কৃষকেরা যে পরিমাণ দৈনিক বেতন পান, শ্রমিকদেরও একই পরিমাণ মজুরি দেওয়া দরকার। কিন্তু প্যানেলের এই প্রস্তাব খারিজ করে দেয় কেন্দ্র।
২০০৬ সালে এনআরইজি প্রকল্পটি চালু করে কেন্দ্র। প্রাথমিক ভাবে ১০০ দিনের কাজের বিনিময়ে মজুরি সুনিশ্চিত হয় এই প্রকল্পে। খরা অথবা বন্যা হলে সেই ক্ষতিপূরণের জন্য ১৫০ দিন পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে কাজের দিনের সংখ্যা।
লোকসভা নির্বাচনের ইস্তেহার প্রকাশের সময় বুধবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দৈনিক মজুরি দ্বিগুণ করা হবে। কাজের দিনের সংখ্যাও বাড়িয়ে ২০০ করা হবে।
Read the full story in English