মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট মেটা প্ল্যাটফর্মস ইনকর্পোরেটেডকে 'সন্ত্রাসবাদী এবং চরমপন্থী' বা কালো তালিকাভুক্ত করল রাশিয়া। মঙ্গলবার রাশিয়ার নিউজ এজেন্সি ইন্টারফ্যাক্স এমনটাই জানিয়েছে। তার মধ্যেই ইউক্রেন জানিয়েছে যে সোম এবং মঙ্গলবার রুশ বিমান হামলায় ২০ জন নিহত এবং ১০৫ জন আহত হয়েছেন। একইসঙ্গে ইউক্রেন অভিযোগ করেছে যে ক্রেমলিন আসলে যুদ্ধের বাজপাখি।
এই পরিস্থিতিতে রাশিয়া দাবি করেছে, তারা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি বিভিন্ন জায়গা থেকে সমর্থন পাচ্ছে। অনেকেই রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তীব্রতা বজায় রাখার পক্ষে মত দিয়েছে। এই তীব্রতা বজায় রাখতে পারলে, রাশিয়া যুদ্ধে জয়ী হতে পারবে বলেই মত দিয়েছে বিভিন্ন মহল।
সম্প্রতি রাশিয়ার দখল করা ক্রিমিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের সংযোগকারী সেতুতে হামলা হয়েছিল। ইউক্রেন এই হামলার দায় অস্বীকার করলেও, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনকেই হামলার জন্য অভিযুক্ত করে। একইসঙ্গে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে হামলা চালায় রুশ বাহিনী।
সোমবারই, রাশিয়ার প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে ভারত। ভারত-সহ ১০৭টি দেশের ভোটে রাশিয়ার প্রস্তাব বাতিল হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় নাগরিকদের জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ইউক্রেন সফর এড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে ভারত। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ার বেলগোরোড অঞ্চলের গভর্নর ব্যাচেস্লাভ গ্ল্যাডকভ জানিয়েছেন, ইউক্রেনের গোলাগুলির পর ওই অঞ্চল বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। হাজার হাজার মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন।
বেলগোরোড অঞ্চলের গভর্নর মঙ্গলবার জানান যে ইউক্রেনের খারকিভ অঞ্চলের সীমান্তবর্তী শেবেকিনো শহরে ইউক্রেনের বাহিনী একটি বিদ্যুৎ সাবস্টেশনে গোলা বর্ষণ করেছে। তার জেরেই ২,০০০-এরও বেশি মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় কাটাচ্ছেন। গ্ল্যাডকভ জানান যে জরুরি পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ পরিষেবা ঠিক করার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন- বীভৎস কায়দায় নরবলি! পুলিশি তদন্তে বেরিয়ে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
রাশিয়া জানিয়েছে, তারা এখনও তুরস্কের শান্তি আলোচনার প্রস্তাব পায়নি। মস্কো এবং পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে শান্তি আলোচনার আয়োজন করার জন্য তুরস্ক আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব দেবে বলে এর আগে জানা গিয়েছিল।
এই পরিস্থিতিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন ও দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে আলোচনার জন্য বৃহস্পতিবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তাইয়্যেপ এরদোগানের সঙ্গে বৈঠক করতে চলেছেন। ওই বৈঠকে তুরস্ক শান্তি আলোচনার প্রস্তাব দিতে পারে। সেই সম্ভাবনা রাশিয়া উড়িয়ে দেয়নি। কিন্তু, রুশ বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, তারা এখনও কোনও প্রস্তাব পায়নি।
Read full story in English