রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত খনিজ তেল আমদানি বাড়িয়েছে চিন। জুলাই মাসের হিসেব অনুযায়ী দেখা গিয়েছে, পরপর তিন মাস রাশিয়া থেকেই সবচেয়ে বেশি অপরিশোধিত তেল আমদানি করেছে চিন। শনিবার প্রকাশিত নথিতে একথা স্পষ্ট হয়েছে। যাতে দেখা গিয়েছে, প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাঙ্গোলা এবং ব্রাজিলের থেকে রাশিয়া বেশি আর্থিক ছাড় দিচ্ছে। তাই রাশিয়া থেকেই বেশি তেল আমদানি করা যুক্তিযুক্ত মনে করেছে স্বাধীন তেল পরিশোধনকারী সংস্থাগুলো।
চিনের জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফ কাস্টমসের নথি অনুযায়ী একবছর আগের তুলনায় রাশিয়া থেকে চিন তেল আমদানির পরিমাণ বাড়িয়েছে ৭.৬ শতাংশ। পূর্ব সাইবেরিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাইপলাইন তথা সমুদ্রপথে মোট ৭১.৫০ লক্ষ টন তেল আমদানি করেছে। রাশিয়া প্রতিদিন প্রায় ১৬.৮০ লক্ষ ব্যারেল তেল রফতানি করে। মে মাসে দৈনিক সর্বাধিক ২০ লক্ষ ব্যারেল তেল রফতানি করেছিল। রাশিয়ার পরেই চিন সবচেয়ে বেশি তেল আমদানি করে সৌদি আরব থেকে। সেই আমদানি কমেছে। এখন প্রতিদিন ১০.৫৪ লক্ষ ব্যারেল তেল আমদানি হচ্ছে।
আরও পড়ুন- অধিকারের জন্য আদালতের রায়ই যথেষ্ট নয়, সোচ্চার হওয়াও জরুরি, মত বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের
শুধু সৌদি আরবই নয়। অ্যাঙ্গোলা থেকে চিন তেল আমদানি ২৭% কমিয়েছে। ব্রাজিল থেকে তেল আমদানি কমিয়েছে ৫৮%। গত মাসে ভেনেজুয়েলা এবং ইরান থেকে কোনও তেল আমদানি হয়নি বলেই জানিয়েছে চিন। এর আগে করোনার কারণে চিনে উৎপাদন কমেছিল। তারপর উৎপাদন শুরু হলেও আগের মত আর খনিজ তেলের প্রয়োজন পড়ছিল না। ক্রমশ ঘুরে দাঁড়াচ্ছে চিনের সংস্থাগুলো। তাই নতুন করে তেল আমদানির দরকার হয়ে পড়েছে।
এর মধ্যেই ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়া থেকে পণ্য রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। রাষ্ট্রসংঘও রাশিয়ার বিভিন্ন পণ্য রফতানিতে জারি করেছে নিষেধাজ্ঞা। তবে, সেই নিষেধাজ্ঞা মানতে রাজি হয়নি চিন। আর, তাই তারা রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আগের মতই বজায় রেখেছে। শুধু আগের মতই নয়। কোনও কোনও ক্ষেত্রে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য আগের চেয়ে বাড়িয়েছে। যা স্পষ্ট করে দিল চিন সরকারের নথিই।
Read full story in English