ইউক্রেনের ওপর রুশ হামলা এখন কমেছে। দীর্ঘস্থায়ী স্বপ্নের সম্ভাবনায় বিভোর বিশ্ববাসী। সেই স্বপ্ন কার্যত ভেঙে দিয়ে এবার আরও আগ্রাসী হওয়ার ইঙ্গিত দিল পুতিন প্রশাসন। রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু প্রতিরক্ষাখাতে ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব দিলেন। একইসঙ্গে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, রাশিয়া তার সেনাবাহিনীতে নিয়োগ বাড়াবে। রুশ সশস্ত্র বাহিনীর সংখ্যা বর্তমানে সাড়ে ১১ লক্ষ। সেটাই বেড়ে হবে ১৫ লক্ষ। এর ফলে রুশ সেনা আগের চেয়ে বহরে প্রায় ৩০% বাড়বে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনাবাহিনী রীতিমতো পর্যুদস্ত হয়েছে। তা থেকে শিক্ষা নিয়ে এই বহরে বাড়ানোর পরিকল্পনা বলেই রুশ প্রতিরক্ষা দফতর জানিয়েছে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে এই বহর বৃদ্ধিতে যে তাঁর সায় আছে, সেটা পুতিনও স্পষ্ট করে দিয়েছেন। সঙ্গে ইউক্রেনে রুশবাহিনী কেন পর্যুদস্ত হল, সেই কারণ যে তিনি খুঁজে বের করতে চান, তা-ও জানিয়ে দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। বুধবার প্রেসিডেন্ট পুতিন ও রুশ সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অফ দ্য জেনারেল স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভ রাজধানী মস্কোয় প্রতিরক্ষা দফতরের বার্ষিক বোর্ড মিটিংয়ে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানেই তাঁদের মধ্যে রুশ সেনাবাহিনীকে ঢেলে সাজানো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
এই বোর্ড মিটিংয়ে শোইগু পুতিনকে বলেন, 'রাশিয়ার সামরিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের গ্যারান্টি দেওয়ার' প্রয়োজন ছিল। তিনি একইসঙ্গে জানান, বাধ্যতামূলক সামরিক পরিষেবার বদলে ৬৯৫,০০০ পেশাদার চুক্তিবদ্ধ সৈনিক প্রয়োজন। পুতিন এর আগে চলতি বছরেই একটি আদেশনামায় স্বাক্ষর করেছিলেন। সেই আদেশনামায় তিনি জানিয়েছিলেন ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে রাশিয়ার সেনাসংখ্যা ১৩৭,০০০ বাড়ানো হবে। সেটা করা হবে সাড়ে ১১ লক্ষ।
আরও পড়ুন- শুনেই ভয়ে সিঁটিয়ে গিয়েছেন অনেকে, জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছে চার্লস শোভরাজ
এবার, তাতেও সন্তুষ্ট না-থেকে জওয়ানদের রুশ সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্তির সংখ্যা আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল পুতিন প্রশাসন। রুশ বাহিনী ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর থেকে রাশিয়ার অভ্যন্তরেও পুতিনের বিরুদ্ধে সমালোচনা বেড়েছে। রাজনৈতিক ভাবে সেই সমালোচনার মোকাবিলা করতে, পুতিন প্রশাসন ইতিমধ্যেই রাশিয়ার তিন লক্ষ সাধারণ নাগরিককে চিহ্নিত করেছে। এই তিন লক্ষ সাধারণ নাগরিক অত্যন্ত রক্ষণশীল। আর, তাঁরা ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলাকে সমর্থন করেছেন। এই রক্ষণশীল রুশ নাগরিকদের নিজের সমর্থক হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা চালাচ্ছেন দোর্দণ্ডপ্রতাপ পুতিন।
Read full story in English