আছড়ে পড়ল ড্রোন। ফের বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ। এই নিয়ে চলতি সপ্তাহে দ্বিতীয়বার ড্রোন আছড়ে পড়ল ইউক্রেনের রাজধানীতে। রাশিয়ার কামিকাজে ড্রোন আছড়ে পড়েছে ইউক্রেনের রাজধানীতে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সোমবার সকালে ইউক্রেনের মধ্য শেভচেনকিভস্কি জেলায় এই ড্রোন আছড়ে পড়েছে। মেয়র ভিতালি ক্লিৎসকো জানিয়েছেন যে এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বেশ কয়েকটি বসত বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ক্লিৎসকো জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ চলছে। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আবাসিক এলাকার বাইরেও আগুন ধরে গিয়েছে বলে তিনি জানান। তবে, ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই। রাশিয়া অবশ্য তাদের এই বিশেষ সেনা অভিযানের কথা স্বীকার করে নিলেও ইউক্রেনের বসতি এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা অস্বীকার করেছে।
শেভচেনকিভস্কি জেলা রীতিমতো জনবহুল। বহু ব্যস্ত এলাকা রয়েছে এই জেলায়। বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। স্টুডেন্টদের জন্য বার আছে, রেস্তোরাঁ আছে। ওই অঞ্চলেই সোমবার পরপর বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ ঘটেছে। গত সপ্তাহেও রাশিয়া ব্যাপক হামলা চালিয়েছিল ইউক্রেনের শহরে। রাশিয়ার সঙ্গে ক্রিমিয়ার সংযোগকারী সেতুতে বিস্ফোরণ ঘটেছিল। এই বিস্ফোরণের পিছনে ইউক্রেনের হাত রয়েছে বলেই দাবি করেছে ক্রেমলিন। মস্কোর অভিযোগ, ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর গোয়েন্দাপ্রধান এই হামলার পিছনে মূল মস্তিষ্ক। তারই প্রত্যাঘাত হিসেবে রাশিয়া হামলা চালায় ইউক্রেনের শহরে।
আরও পড়ুন- বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় চূড়ান্ত ব্যর্থ, কর্ণাটক সরকারকে ২৯০০ কোটি জরিমানা পরিবেশ আদালতের
ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান আন্দ্রি ইয়ারমাকের অভিযোগ, সোমবারের হামলায় রাশিয়া কার্যত আত্মঘাতী ড্রোন ব্যবহার করেছে। ইয়ারম্যাক বলেন, 'রাশিয়া মনে করছে, এতে তাদের ভালো হবে। সেই জন্যই হামলা চালিয়েছে। কিন্তু, এটা স্রেফ আঁচড় দেওয়া ছাড়া ইউক্রেনের কোনও ক্ষতি করতে পারবে না।'
ইউক্রেনের দাবি, রাশিয়া প্রাথমিক লডা়ইয়ে পিছিয়ে পড়ছিল। কারণ, তাদের কাছে সেভাবে ড্রোনের সরবরাহ ছিল না। সম্প্রতি তারা ইরান থেকে ড্রোন নিয়েছে। ইরানের শহিদ-১৩৬ ড্রোনই এরপর থেকে ইউক্রেন বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে ক্রেমলিন। যদিও রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহের অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইরান। আর, ক্রেমলিন এই নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
Read full story in English