কৃষ্ণ সাগরে 'মার্কিন ড্রোনের' সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধবিমানের ভয়াবহ সংঘর্ষ। মার্কিন সেনা সূত্রে খবর, মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) একটি রুশ সুখোই – ২৭ জেট বিমানের সঙ্গে একটি মার্কিন এমকিউ-৯ রিপার ড্রোনের ধাক্কা লাগে। ইউক্রেন সীমান্তের খুব কাছে আন্তর্জাতিক জলসীমার উপর, আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় এই ঘটনা ঘটেছে। এই ধরণের ঘটনাকে রাশিয়ার 'বেপরোয়া পদক্ষেপ' বলেও উল্লেখ কর হয়েছে।
রাশিয়া এবং আমেরিকার মধ্যে চড়ছে উত্তেজনার পারদ। মার্কিন সেনাবাহিনী সূত্রে দাবি করা হয়েছে, কৃষ্ণ সাগরে একটি রাশিয়ান ফাইটার জেট এবং একটি আমেরিকান ড্রোনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর রাশিয়া ও আমেরিকার মধ্যে উত্তেজনার পারদ আরও চড়বে বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক মহল। ঘটনা সম্পর্কে, মার্কিন সেনাবাহিনীর ইউরোপীয় কমান্ড বলেছে যে মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) একটি রাশিয়ান SU-27 যুদ্ধবিমান কৃষ্ণ সাগরের উপর আমেরিকান MQ-9 রিপার ড্রোনের সঙ্গে সংঘর্ষে মুখে পড়ে। এই ঘটনাটি ঘটে যখন আমেরিকার রিপার ড্রোন এবং দুটি রাশিয়ান যুদ্ধবিমান SU-27 কৃষ্ণ সাগরের উপর দিয়ে আন্তর্জাতিক জলসীমায় চক্কর খাচ্ছিল
এই পুরো বিষয়ে ইউএস এয়ারফোর্স জেনারেল জেমস হেকার বলেন, 'আমাদের এমকিউ-৯ আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় রুটিন টহল চলাকালীন রুশ বিমানের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এর পর আমাদের ড্রোন সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর সঙ্গে তিনি জানান, এই ঘটনায় রাশিয়ার বিমানটিও বিধ্বস্ত হয়'। পাশাপাশি ঘটনার জন্য রাশিয়াকে দায়ি করা হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে জানা গিয়েছে, আমেরিকার রিপার ড্রোন এবং রাশিয়ার দুটি SU-27 যুদ্ধবিমান কৃষ্ণ সাগরের উপর দিয়ে প্রদক্ষিণ করার সময় এই ঘটনা ঘটে। মার্কিন সেনাবাহিনী দাবি করেছে যে একটি রাশিয়ান জেট ইচ্ছাকৃতভাবে একটি আমেরিকান ড্রোনকে 'লক্ষ্যবস্তু করে'। হঠাৎ জেটটি ড্রোনের সামনে এসে পড়ে ফলেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে দাবি আমেরিকার। এরপর ড্রোনটিকে কৃষ্ণ সাগরে অবতরণ করতে বাধ্য করা হয়। উল্লেখযোগ্যভাবে, রাশিয়া এবং ইউক্রেনের সীমান্ত কৃষ্ণ সাগরেই মিলিত হয়েছে।
ইউক্রেনের সঙ্গে চলমান সংঘর্ষের কারণে গত কয়েক মাস ধরে এ এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ইউক্রেন যুদ্ধের সময় কৃষ্ণ সাগরের উপর দিয়ে রাশিয়া ও আমেরিকান একাধিক যুদ্ধ বিমান চক্কর খেলেও আগে কখনও এমন ঘটনা ঘটেনি। রাশিয়ার পক্ষ থেকে অবশ্য এখনও এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে এই মার্কিন দাবি গোটা বিশ্বে সাড়া ফেলে দিয়েছে।