যা মনে হচ্ছিল স্তিমিত, সেই ইউক্রেন যুদ্ধ ফের প্রচারের আলোয়। রাশিয়ার বাহিনী পূর্ব ইউক্রেনের শহর সিভিয়েরোডোনেটস্ক থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার শেষ পথও বন্ধ করে দিয়েছে। ইউক্রেন সরকারের আধিকারিক সের্গেই গাইদাই জানিয়েছেন, ডনবাস অঞ্চল জেতার জন্য ক্রেমলিন মরিয়া হয়ে উঠেছে। শহরের শেষ সেতু পর্যন্ত ধ্বংস করে দিয়েছে রুশ সেনা। যাতে বাকি ১২ হাজার লোক এই অঞ্চল ছেড়ে পালাতে না-পারেন।
যুদ্ধের আগে সিভিয়েরোডোনেটস্ক অঞ্চলের জনসংখ্যা ছিল লক্ষাধিক। বেশিরভাগ মানুষই পালিয়ে যাওয়ায় এখন সেই সংখ্যা ১২ হাজারে এসে ঠেকেছে। ওই অঞ্চলে বাসিন্দারা আটকে পড়ায়, তাঁদের হাতে ইউক্রেন সরকারের সাহায্য পৌঁছে দেওয়া অসম্ভব হয়ে উঠেছে। লুহানস্কে ইউক্রেন সরকারের আধিকারিক সারহি হাইদাই জানিয়েছেন, 'আহতদের সরিয়ে নেওয়ার পথ এখনও খোলা আছে।'
ইউক্রেনীয় সেনার দাবি, রুশ বাহিনী অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে লাগাতার গোলাবর্ষণ করছে। তাতে ইউক্রেন সেনার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সেই ক্ষতির জন্যই শিল্প শহর সিভিয়েরোডোনেটস্ক ছাড়তে বাধ্য হয়েছে ইউক্রেনের বাহিনী। যুদ্ধের বীভৎসতা থেকে বাঁচতে ৫০০-র বেশি নাগরিক অ্যাজট রাসায়নিক কারখানায় আশ্রয় নিয়েছে। সেই কারখানাতেও লাগাতার হামলা চালাচ্ছে রুশ বাহিনী।
আরও পড়ুন- দিল্লির বাড়িতে বৈঠক মমতার সঙ্গে, রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী শরদ পাওয়ার?
এই পরিস্থিতিতে গত ২৪ ঘণ্টায় কোনওরকমে লুহানস্ক ছেড়ে পালিয়েছেন ইউক্রেনের প্রায় জনা ৭০ নাগরিক। পাশাপাশি, গোলা আছড়ে পড়ায় দুই নাগরিক আহত হয়েছেন বলেও জানিয়েছে ইউক্রেন প্রশাসন। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকা এবং ইউরোপের দেশগুলোর কাছে সাহায্যের আবেদন বাড়িয়েছে ইউক্রেনের জেলেনস্কি প্রশাসন। জেলেনস্কি নিজে জানিয়েছেন, ইউরোপের ইতিহাসে ডনবাসের যুদ্ধ নৃশংসতার চরমসীমার সাক্ষী হতে চলেছে।
ডনবাস অঞ্চল লুহানস্ক এবং ডোনেৎস্ক প্রদেশ নিয়ে তৈরি। রাশিয়ার সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দাবি, এই অঞ্চল তাদের। এই প্রসঙ্গে জেলেনস্কি বলেন, 'আমাদের এই যুদ্ধের জন্য অনেক মূল্য চোকাতে হচ্ছে। বলতে গেলে এই যুদ্ধ আমাদের কাছে ভীতিকারক। আমরা প্রতিদিন আমাদের অংশীদারদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছি। তাদের বোঝানোর চেষ্টা করছি যে যথেষ্ট গোলাবারুদ না-থাকলে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে টিকে থাকা যাবে না।'
Read full story in English