শুক্রবার ভোরে ইউক্রেনের বন্দর শহর ওডেসার একটি আবাসিক এলাকায় আছড়ে পড়ে রুশ মিসাইল। রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পুড়ে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১৯ জনের। আহতের সংখ্যা প্রচুর। মৃতদের মধ্যে বেশ কয়েকটি শিশুও। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে ইউক্রেনের তরফে।
ইউক্রেন জানিয়েছে এটা রাশিয়ার পূর্ব পরিকল্পিত হামলা। কৃষ্ণ সাগর থেকে রুশ বাহিনী প্রত্যাহারের মাত্র একদিনের মাথায় এই হামলায় কেঁপে ওঠে ইউক্রেনের বন্দর শহর। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় সূত্রের খবর তিনটি এক্স-২২ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে এই হামলা চালানো হয়েছে। মূলত আবাসিক এলাকাকেই টার্গেট করা হয়েছে। এই হামলায় কমপক্ষে ১৯ জন প্রাণ হারান। আহতের সংখ্যা প্রচুর।
হামলার প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির চিফ অফ স্টাফ অ্যান্ড্রি ইয়ারমাক বলেছেন, “রাশিয়া ইউক্রেনের সন্ত্রাসের পরিবেশ বজায় রাখতে চাইছে। ইউক্রেন দখল করতে না পেরে এখন দেশের নিরীহ মানুষদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। তাদের হত্যা করা হচ্ছে”।
আরও পড়ুন: <ফের খুন! নূপুর শর্মার মন্তব্যকে সমর্থন করাতেই কী এই মর্মান্তিক পরিনতি? তদন্তে পুলিশ>
ইউক্রেনের সিকিউরিটি সার্ভিসের তরফে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে “রুশ হানায় দুই শিশুসহ ১৯ জন মারা গেছে। সেই সঙ্গে আরও ৬ শিশু, বেশ কয়েকজন গর্ভবতী মহিলা সহ ৩৮ জন এই হামলায় গুরুতর জখম হয়েছেন”। বৃহস্পতিবার স্নেক আইল্যান্ড থেকে রাশিয়ান বাহিনীর প্রত্যাহারের পরেই মিসাইল হানায় কেঁপে ওঠে ইউক্রেন। মুহূর্তেই রক্তে চারিদিক ভেসে যায়। ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতির কার্যালয় সূত্রে দাবি করা হয়েছে গত ২৪ ঘন্টার মধ্যে একের পর এক রুশ হানার বলি হয়েছেন বেশ কয়েকজন সাধারণ নাগরিক।
যদিও রাশিয়া নিরীহ নাগরিকদের ওপর হামলা চালানোর বিষয়টি অস্বীকার করেছে। ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে দাবি করা হয়েছে, রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৯ তলা একটি বহুতল তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে। এতেই নিহত হন ১৯ জন এবং আরও ৩৮ জনের মতো মানুষ আহত হয়েছেন। চার মাসের বেশি সময় ধরে চলা ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর সামরিক হানার মাত্রা এতটুকুও কমেনি। বরং প্রতিনিয়তই চলছে গোলাবর্ষণ, হামলা। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছে রাস্তা-ঘাট, ঘর- বাড়ি, শপিং মল, স্কুল কলেজ। এরমধ্যে শুক্রবার ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর ওডেসাতে ভয়ঙ্কর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় মস্কো।