সম্প্রতি আমেরিকা ও জার্মানি যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে ত্রাণসামগ্রী পাঠানোর পর ফের আক্রমণের তীব্রা বাড়িয়েছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার রাশিয়ার ঝাঁঝালো আক্রমণের মুখে ইউক্রেনের ১১ জন নিহত হয়েছেন। একই সঙ্গে রুশ মিশাইল হানায় বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর মিলেছেন। অন্যদিকে ইউক্রেনে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তীব্র নিন্দা ও কড়া ভাষায় এই আক্রমণের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কিয়েভ অঞ্চলের আবাসন গুলি রুশ মিসাইল হানায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইউক্রেন জানিয়েছেন, হামলাটি এতটাই শক্তিশালী যে হামলার ফলে বেশ কয়েকটি ভবন পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। আমেরিকা এই হামলার নিন্দা জানিয়ে ইউক্রেনের হামলায় নিহতদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছে
মার্কিন বিদেশ দফতর বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ইউক্রেনে রুশ মিসাইল হামলার নিন্দা জানিয়েছে এবং নিহত সকলের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে। মার্কিন বিদেশ দফতরের প্রধান উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেছেন, “আপনারা সবাই দেখেছেন, রাশিয়া গতরাতে ইউক্রেনে আরও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে, ‘আমি ইউক্রেনে নিহতদের পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা ও হামলায় আহতদের দ্রুত সুস্থতার কামনা করছি।" সম্প্রতি মার্কিনযুক্তরাষ্ট্র এবং জার্মানি ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা করেছে। বেশ কয়েকটি মিসাইল ধ্বংসকারী যুদ্ধ ট্যাঙ্ক সরবরাহ করেছে। এর কয়েকদিন পরই রাশিয়া ইউক্রেনের ওপর হামলার ঝাঁজ বাড়িয়েছে। সরকারি সূত্রে দাবি করা হয়েছে এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৩৫টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং দুটি ভবনে আগুন লেগে যায়। সিএনএন জানায়, ক্ষেপণান্ত্র হানায় ইউক্রেনের ১১টি এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সংবাদ সংস্থা সিএনএন-জানিয়েছে "কিয়েভ অঞ্চলের ভবনগুলি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। "
গত সপ্তাহে, রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্রের হামলায় কমপক্ষে ৩০ জন নিহত হয়েছিল। আঞ্চলিক গভর্নরের উপদেষ্টা নাটালিয়া বাবাচেঙ্কো বলেছেন, এখনও পর্যন্ত ৩০ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে এবং ৩০ জনেরও বেশি লোককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ১২ জনের অবস্থা গুরুতর। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ৩০ থেকে ৪০ জন আটকে থাকতে পারে বলে তিনি অনুমান করেছেন।