সুরক্ষিত রাশিয়ার তৈরি ভ্যাকসিন ‘স্পুটনিক ৫’। শুক্রবার ল্যানসেট জার্নালের রিপোর্ট অনুসারে, প্রথম দফার পরীক্ষায় কোনও স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই অ্যান্টিবডি গঠনে সফল‘স্পুটনিক ৫,’। এছাড়াও প্রত্যেক স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগের ২৮ দিনের মধ্যে টি-সেল সাড়া দিয়েছে।
Advertisment
গবেষকরা মৃদু ও মাঝারি মাত্রার করোনা থেকে সেরে ওঠা মোট ৪,৮১৭ ব্যক্তির থেকে কনভ্যালেসেন্ট প্লাজমা সংগ্রহ করেন এবং ভ্যাকসিন পরবর্তী প্রতিরোধ ক্ষমতার সঙ্গে মানুষের শরীরের স্বাভাবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা তুলনা করে দেখেন। দেখা গিয়েছে, ভ্যাকসিনপ্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবকদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অন্যদের তুলনায় বেশি মাত্রায় রয়েছে।
রাশিয়ার দুই হাসপাতালে আয়োজিত ভ্যাকসিন ট্রায়ালে অংশগ্রহণ করেছিলেন ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়েসি ৭৬ জন স্বেচ্ছাসেবী। ট্রায়ালে ব্যবহার করা হয় দু'ভাবে বিভাজিত একটি ভ্যাকসিন যাতে দুটি পৃথক অ্যাডিনোভাইরাস উপস্থিত ছিল। ভাইরাসগুলি আসলে সাধারণ সর্দি, কাশি সৃষ্টিকারী প্যাথোজেন, যার সাহায্যে মানবশরীরে প্যাথোজেনটি প্রবেশ করানো হয়।
Advertisment
আগামী কয়েক সপ্তাহে পরীক্ষামূলক ভাবে চিকিৎসা কর্মী ও শিক্ষকদের শরীরে এই ভ্যাক্সিন প্রবেশ করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুতিন সরকার। দ্বিতীয় পর্যায়ের পর গত ২৬ অগস্ট তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল আয়োজিত হয়। তার ফলাফলও যথেষ্ট ইতিবাচক বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।