ইরান-সমর্থিত হুথি জঙ্গিরা একের পর হামলা চালাচ্ছে পণ্যবাহী জাহাজে। যার কারণে লোহিত সাগরে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর গতকাল ১৫ জানুয়ারি তেহরানে ইরানের বিদেশ মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। ইরান থেকে জয়শঙ্করের সাফ বার্তা 'লোহিত সাগরে হুথি হামলায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ভারত। এই ধরণের হামলা সরাসরি দেশের অর্থনীতির ওপর প্রভাব ফেলছে। উভয় নেতা লোহিত সাগর সংকটসহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা করেন এবং এর স্থায়ী সমাধান নিয়েও আলোচনা করেন। চাবাহার বন্দরের মাধ্যমে আঞ্চলিক যোগাযোগ নিয়েও দুই নেতার মধ্যে আলোচনা হয়।
জয়শঙ্কর এই অঞ্চলে সামুদ্রিক নৌচলাচলের 'বিপদ' সম্পর্কে কথা বলেছেন এবং জোর দিয়েছিলেন যে সমস্যাটির "দ্রুত সমাধান" হওয়া গুরুত্বপূর্ণ…! ভারত লোহিত সাগরের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বৃহস্পতিবার জয়শঙ্কর এবং মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন-এর মধ্যে ফোনালাপে এই বিষয়টি উঠে এসেছে।
লোহিত সাগরে ইরান সমর্থিত হুথি জঙ্গিদের পণ্যবাহী জাহাজে হামলার ঘটনাকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে গুরুতর উদ্বেগের বিষয় বলে বর্ণনা করেন জয়শঙ্কর। সোমবার তিনি বলেন, এই ধরনের হুমকি ভারতের জ্বালানি ও অর্থনৈতিক স্বার্থের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। তিনি আরও জোর দিয়ে বলেন, 'এই ভয়ানক পরিস্থিতি কোনও পক্ষের স্বার্থ সুরক্ষিত করতে পারে না' ইরানের বিদেশমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ানের সঙ্গে আলোচনার পর এক যৌথ বিবৃতিতে জয়শঙ্কর বলেন, যে এই সমস্যাটি দ্রুত সমাধান করা গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, ভারত ও ইরান উভয়ই পশ্চিম এশিয়ার সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং এই অঞ্চলে হিংসা রোধের একাধিক উপায়ের ওপর দুদেশের তরফেই জোর দেওয়া হয়েছে। ইজরায়েল হামাস যুদ্ধ প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর বলেন, 'ভারত গাজায় ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে এবং ইউএনআরডব্লিউএ-তে অবদান রেখেছে। প্যালেস্তাইন ইস্যুতে, জয়শঙ্কর বলেন, 'উস্কানিমূলক ও উত্তেজনা বৃদ্ধিকারী কর্মকাণ্ড এড়িয়ে সংলাপ ও কূটনীতির দিকে অগ্রসর হওয়ার ওপর জোর দিয়েছি'।