/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/06/Imran-Khan.jpg)
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ফাইল ছবি
সার্ক দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠক বাতিল হওয়ার নেপথ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য এল সামনে। সূত্রের খবর, পাকিস্তান চেয়েছিল আফগানিস্তানের তরফে তালিবান এই বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব করুক। সেই দাবি মানতে চায়নি ভারত-সহ সার্ক দেশগুলি। আর তার ফলেই ভেস্তে যায় সার্ক-এর বৈঠক। আগামী শনিবার এই বৈঠক শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার বৈঠক বাতিলের কথা ঘোষণা করা হয়।
জানা গিয়েছে, পাকিস্তান আফগানিস্তানের তরফে পূর্বতন আসরাফ ঘানি সরকারের প্রতিনিধির বিরোধিতা করেছিল। সূত্রের খবর, যদি বৈঠক হত তাহলে রাষ্ট্রসংঘ নিযুক্ত আফগানিস্তান মিশনের প্রতিনিধি সেই বৈঠকে অংশ নিতেন। পাকিস্তান তালিবান প্রতিনিধিকে বৈঠকে চেয়েছিল। কিন্তু বাকি সদস্যরা পত্রপাঠ সেই প্রস্তাব নাকচ করে দেয়। এর অন্যতম কারণ, ভারত-সহ বিশ্বের একাধিক দেশ এখনও তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। রাষ্ট্রসংঘের কাছেও এই বিষয়ে কোনও প্রস্তাব যায়নি।
সূত্রের খবর, বাকি দেশগুলি চেয়েছিল, বৈঠকে আফগানিস্তানের আসনটি খালি থাকুক। কিন্তু তা মানতে নারাজ পাকিস্তান। বোঝাপড়ার অভাবেই সার্ক বৈঠক ভেস্তে গিয়েছে। বাকি সদস্যদের মধ্যেও এই বিষয়ে কোনও পারস্পরিক ঐক্যমতে আসা হয়নি। নেপালের বিদেশ মন্ত্রী মঙ্গলবার একটি চিঠি পাঠায় সার্ক সচিবালয়ের কাছে। তাতে বলা হয়, সমস্ত সদস্যদের মধ্যে ঐক্যমতের অভাবে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে চলা সার্ক বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। রাষ্ট্রসংঘের ৭৬তম সাধারণ বৈঠকের পাশাপাশি এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
আরও পড়ুন কোভিশিল্ডে মান্যতা নয়, ব্রিটেনের নীতি ‘বৈষম্যমূলক’, কড়া প্রতিক্রিয়া নয়াদিল্লির
বস্তুত, আফগানিস্তান হল সার্কের কনিষ্ঠতম সদস্য। ২০০৭ সালে তারা এই সংগঠনে যোগ দেয়। ভারত, বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তান হল সার্কের বাকি সদস্য দেশ। ১৯৮৭ সালের ১৭ জানুয়ারি নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে সার্ক সদস্যদের সচিবালয় গঠিত হয়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন