Advertisment

আধার কার্ডে বাড়ল বয়স, শবরীমালায় প্রবেশ নিষিদ্ধ কিশোরীর

গত শনিবার ১০ জন অন্দ্রপ্রদেশের মহিলাকে মন্দিরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। সোমবারও একই ঘটনা ঘটে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

আয়াপ্পা মন্দিরে প্রবেশের জন্য দর্শনার্থীদের লাইন।

আয়াপ্পা মন্দিরে প্রবেশে বাধা দেওয়া হল ১২ বছরের এক কিশোরীকে। পেম্বা ক্যাম্পেই পুদুচেরি থেকে আসা ওই কিশোরীকে আটকায় পুলিশ। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের খবর, অন লাইনে বুকিংয়ের সময় কিশোরীর বয়স ১০ বছর বলা হয়। কিন্তু, আধার কার্ড মিলিয়ে দেখা যায় তার বয়স ১২ বছর। তারপরই পুলিশ কিশোরীর অবিভাবকদের সম্পূর্ণ বিষয়টি জানিয়ে তার মন্দিরে প্রবেশ আটকায়। তবে, কিশোরীর অবিভাবকদের মন্দিরে যাওয়ার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Advertisment

সুপ্রিম কোর্ট রায় ঘোষণা পর, গত শনিবার খুলেছে শবরীমালা মন্দিরের দরজা। বার্ষিক মন্ডলা পুজো উপলক্ষ্যে দর্শনার্থীদের জন্য আয়াপ্পা মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, সুপ্রিম রায়ের পরও ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সী মহিলাদের প্রবেশাধিকারে ‘না’ করেছে শবরীমালা মন্দির কর্তৃপক্ষ। ফলে ওই দিন প্রবেশাধিকার পাননি অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে আসা ১০ জন মহিলা। ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সি ওই দশজন মহিলাকে আয়াপ্পা দর্শনের অনুমতি না দিয়ে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছিল পুলিশ। গত সোমবারও এক দল ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সী মহিলাকে মন্দিরে প্রবেশের আগে আটকে দিয়েছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: খুলল শবরীমালার দরজা, ১০ মহিলাকে ফেরত পাঠাল পুলিশ

গত শনিবারই বাম নেতৃত্বাধীন কেরালা সরকার শুক্রবারই তাদের অনিচ্ছার বিষয়টি স্পষ্ট করেছিল। জানানো হয়, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে অনেকগুলি বিষয় স্পষ্ট নয়। তাই কোনও মহিলাকে নিয়ে মন্দিরের দিকে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। দেবস্বমের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী কাডাকাম্পাল্লি সুরেন্দ্রন পরিষ্কার করে জানিয়েছিলেন, 'শবরীমালা মন্দির অন্দোলনকারীদের আন্দোলনের জায়গা নয়। প্রচারের জন্য কোনও মহিলা মন্দিরে প্রবেশ করতে চাইলে রাজ্য সরকারের তাতে সায় নেই।'

শবরীমালা মন্দিরে ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সী মহিলাদের প্রবেশ ঠেকাতে দর্শনার্থীদের বিভিন্ন ক্যাম্পে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রয়েছে মহিলা পুলিশও।নজর রাখা হচ্ছে পুন্যার্থী বোঝাই বিভিন্ন গাড়িতে।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে শীর্ষ আদালত মহিলাদের মন্দিরে প্রবেশের ছাড়পত্র দেয়। ওই রায়ের পুনর্বিবেচনায় মামলাটি সাত সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠানো হয়। সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয়, মসজিদে মুসলিম মহিলাদের প্রবেশ, পার্সি মহিলাদের মামলা এবং দাউদি বোরা মামলার বিষয়ও একই। সেই মর্মেই শবরীমালায় মহিলাদের প্রবেশ নিষেধাজ্ঞার মামলাটিকে বৃহত্তর বেঞ্চে স্থানান্তকরণের সিদ্ধান্ত নেয় সুপ্রিম কোর্ট। ফলে, পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ সহমত না হওয়ায় কার্যত অমিমাংসিত থেকে যায় মেয়েদের মন্দিরে প্রবেশের বিষয়টি। কিন্তু, সুপ্রিম কোর্ট ১০ থেকে ৫০ বছরের মহিলাদের মন্দিরে প্রবেশের ছাড়পত্রে স্থগিতাদেশ দেয়নি।

Read the full story in English

Sabarimala
Advertisment