Advertisment

মহিলারা শবরীমালায় প্রবেশ করলে দু'টুকরো করে দেওয়া উচিত: মালয়ালম অভিনেতা কোল্লাম তুলসি

সোমবার শবরীমালা রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করা হয়েছিল শীর্ষ আদালতে। মঙ্গলবার সেই রায় পুনর্বিবেচনা সংক্রান্ত বিশেষ শুনানির আর্জি খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Women chant hymns during a protest called by various Hindu organisations against the lifting of ban by Supreme Court that allowed entry of women of menstruating age to the Sabarimala temple, on the outskirts of Kochi

শবরীমালা মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশ নিয়ে উত্তাল কেরালা।

শবরীমালা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। গত ২৮ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতি নিয়ে গঠিত বিশেষ বেঞ্চ রায় দেয়, কেরালার শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন সব বয়সের মহিলারা। ঐতিহাসিক এই রায় নিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল রায়ের পর থেকেই। আয়াপ্পা ডিভোটিজ অ্যাসোসিয়েশন-এর পাশাপাশি নাইয়ার সোসাইটি এবং দিল্লির চেতনা কনশিয়েন্স অব উইমেন-এর পক্ষ থেকেও রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়। তাদের মতে, শীর্ষ আদালতের রায় "অসমর্থনযোগ্য এবং বিরক্তিকর"। শুক্রবার নতুন করে বিতর্ক উস্কে দিলেন মালায়লম অভিনেতা কোল্লাম তুলসি।

Advertisment

কোল্লামের এক অনুষ্ঠানে তুলসি বললেন, "শবরীমালায় প্রবেশ করলে মহিলার শরীর দু'টুকরো করে দেওয়া উচিত।" মঞ্চে তুলসির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি শ্রীধরণ পিল্লাই। তুলসি আরও বলেন, মন্দিরের আয়াপ্পা কীর্তনের আওয়াজ যেন মুখ্যমন্ত্রীর কানের পর্দা ফাটিয়ে দেয়।

আরও পড়ুন, শবরীমালা মন্দিরে মেয়েদের প্রবেশাধিকার কি সমতাই সূচিত করে?

"চিরে ফেলা দু’ভাগ নারী শরীরের এক ভাগ পাঠিয়ে দেওয়া উচিত দিল্লিতে। বাকি অর্ধেক ছুড়ে ফেলা উচিত মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে," বললেন অভিনেতা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সোমবার শবরীমালা রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করা হয়েছিল শীর্ষ আদালতে। মঙ্গলবার সেই রায় পুনর্বিবেচনা সংক্রান্ত বিশেষ শুনানির আর্জি খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ সহ আরও দুই বিচারপতি নিয়ে গঠিত বেঞ্চ জানিয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ে পুনর্বিবেচনা করা হবে। আয়াপ্পাদের আবেদন নিয়ে খোলাখুলি কোনো শুনানি হবে না।

এতদিন ধরে শবরীমালা মন্দিরে প্রথানুযায়ী ১০ থেকে ৫০ বছর পর্য়ন্ত মহিলাদের প্রবেশাধিকার ছিল না। এর বিরুদ্ধে কেরালা হাইকোর্টে যে আবেদন করা হয়েছিল, তাতে হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল যে, কেবলমাত্র তন্ত্রী (পুরোহিত)-ই এই প্রথার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারী। এর বিরুদ্ধে যাঁরা আবেদন করেছিলেন, তাঁদের বক্তব্য ছিল, এই প্রথা প্রকৃতিগত ভাবেই বৈষম্যমূলক এবং মহিলাদের প্রার্থনার স্থান বাছাইয়ের অধিকারে হস্তক্ষেপকারী।

supreme court
Advertisment