বিক্ষোভে দমে যাননি। বরং চ্যালেঞ্জের ভঙ্গিতে ফের শবরীমালার পথে পা বাড়িয়েছিলেন রেশমা নিশান্ত ও শানিলা সাজেশ। কিন্তু আবারও বিক্ষোভকারীদের বাধায় বাধ্য হয়েই আয়াপ্পা দর্শন না করেই ফিরে যেতে হল ওই দুই মহিলাকে। চলতি সপ্তাহের গত বুধবারও বিক্ষোভকারীদের ‘বাধা’-য় পিছু হটতে হয়েছিল রেশমা ও শানিলাকে। পাম্বায় বিক্ষোভকারীরা জড়ো হয়েছেন, তাই ওই দুই মহিলা মন্দিরে গেলে নতুন করে অশান্তি ছড়াতে পারে কেরালায়। এই আশঙ্কা থেকেই পুলিশি পরামর্শে শনিবারও আয়াপ্পা দর্শন হল না রেশমাদের।
এদিন নীলাক্কাল বেস ক্যাম্পে পৌঁছন রেশমারা। সেখান থেকেই তাঁদের ফিরে যেতে বলে পুলিশ। পাম্বায় বিক্ষোভকারীরা জড়ো হয়েছেন, একথা বলে তাঁদের সাবধান করা হয়। উল্লেখ্য, গত বুধবার পুলিশি নিরাপত্তা নিয়েই শবরীমালা মন্দির দর্শনে যাচ্ছিলেন ওই দুই মহিলা। সেদিন ভোর ৪টে নাগাদ পুলিশি নিরাপত্তা নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন তাঁরা। মন্দির যাওয়ার পথে তাঁদেরকে দেখেন একদল পুরুষ তীর্থযাত্রী। যাঁরা ওই পথেই মন্দির দর্শন করে ফিরছিলেন। দুই মহিলাকে মন্দির যাওয়ার পথে দেখতে পেয়ে ওই তীর্থযাত্রীর দল তাঁদের পথ আটকায়। এরপরই তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়।
আরও পড়ুন, শবরীমালায় ঢুকতে ফের ‘বাধা’ দুই মহিলাকে
এদিকে, গত ২ জানুয়ারি শবরীমালা মন্দিরের সেই দুই মহিলা দর্শনার্থী কনকদুর্গা ও বিন্দুর সর্বক্ষণের নিরাপত্তার দায়িত্ব কেরালা সরকারকে নিতে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি এলএন রাও ও দীনেশ মহেশ্বরীর বেঞ্চ জানিয়েছে, আদালত শুধুমাত্র ওই দুই মহিলার নিরাপত্তার বিষয় ছাড়া অন্য কিছুতেই হস্তক্ষেপ করবে না। সম্প্রতি কেরালা সরকার দাবি করেছে, আরও বেশি সংখ্যক মহিলা শবরীমালায় প্রবেশ করেছেন। এই বিষয়েও মত প্রকাশ করতে নারাজ শীর্ষ আদালত। কেরালা সরকার শীর্ষ আদালতকে জানিয়েছে, গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বরের ঐতিহাসিক রায়ের পর মোট ৫১ জন মহিলা শবরীমালার গর্ভগৃহে প্রবেশ করেছেন।
Read the full story in English