Advertisment

শবরীমালাগামী গাড়ি থামিয়ে মহিলাদের খোঁজ, বরদাস্ত নয়, জানিয়ে দিলেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা আগেই স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছিলাম যে শীর্ষ আদালতের সিদ্ধান্ত আমরা মেনে চলব। এখন সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আমরা তা কার্যকর করব।’’

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
sabarimala

প্রায় দু'মাসের জন্য মন্দির খুলেছে। ফাইল ছবি।

শবরীমালার সমস্ত ভক্তদের রক্ষার দায় নিজেদের কাঁধে তুলে নিল কেরালা সরকার। কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন, যাঁরাই শবরীমালা মন্দিরে পুজোপাঠে যাবেন, তাঁদের প্রোটেকশনের সমস্ত বন্দোবস্ত করা হবে।

Advertisment

শবরীমালাগামী সমস্ত গাড়ি থামিয়ে তাতে ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সী মহিলা রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে- সংবাদমাধ্যম এ ব্যাপারে কেরালা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করার পরেই মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকেন বিজয়ন। সে বৈঠকে পৌরোহিত্য করেন তিনি স্বয়ং। বৈঠকের পরেই তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন।

শবরীমালায় তাঁদের ওবি ভ্যান থাকা সত্ত্বেও সেখানে ঢুকতে দেওয়া হয়নি দুই মহিলা সাংবাদিককে। মন্দির থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে, নীলাকালে বিক্ষোভকারীরা বাধা সৃষ্টি করছে বলে খবর।

আরও পড়ুন, #MeToo মামলা করে চুপ করাতে চাইছেন আকবর, লড়াই জারি থাকবে: প্রিয়া রামানি

পিনারাই বিজয়ন বলেছেন, ‘‘আমাকে জানানো হয়েছে যে কিছু লোক গাড়ি তল্লাশি করা শুরু করেছে। এরকম ঘটনা সমর্থন করা যাবে না। কেউই আইন নিজেদের হাতে তুলে নিতে পারে না। সরকার এ ধরনের ঘটনা ঘটতে দেবে না। যাঁরা প্রার্থনা করতে চান, তাঁদের বাধা দেওয়া যাবে না।’’

তিনি একই সঙ্গে ফের স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কেরালা সরকার কোনও রিভিউ পিটিশন দাখিল করবে না। গত ২৮ সেপ্টেম্বর শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, শবরীমালা মন্দিরে ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সী মহিলারা প্রবেশ করতে পারবেন।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা আগেই স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছিলাম যে শীর্ষ আদালতের সিদ্ধান্ত আমরা মেনে চলব। এখন সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আমরা তা কার্যকর করব।’’

মঙ্গলবার সকালে সুপ্রিম কোর্টের আদেশের প্রতিবাদে শয়ে শয়ে বিক্ষোভকারী নীলাকলে জড়ো হন। তাঁরা শবরীমালা গামী সমস্ত গাড়ি পরীক্ষা করতে থাকেন। এই বিক্ষোভকারীদের মধ্যে বহু মহিলাও ছিলেন।

মাসিক পূজার জন্য শবরীমালা মন্দির খুলবে বুধবার বিকেল ৫ টায়। নীলাকলে বিক্ষোভরত এক মাঝবয়সী মহিলা বলেছেন, ‘‘১০ থেকে ৫০ বছরের একজন মহিলাকেও মন্দিরের ধারে কাছে ঘেঁষতে দেব না। এটা জীবন মরণ ব্যাপার। কোনওভাবেই আমরা ঐতিহ্য ভাঙতে দেব না।’’

বিক্ষোভকারীরা সকলেই স্থানীয় বাসিন্দা বলে জানা গেছে। অন্য যাঁরা বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন, তাঁরাও ধারেকাছেই থাকেন বলে খবর।

এর মধ্যে শবরীমালার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা ট্রাভাঙ্কোর দেভাসম বোর্ড মঙ্গলবার পাণ্ডালাম রাজপরিবার সহ বিভিন্ন হিন্দু গোষ্ঠীর সঙ্গে বৈঠক করে কীভাবে এ বিতর্কের সমাধান করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করেছে।

Advertisment