Advertisment

শবরীমালা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি: প্রধান বিচারপতি বোবডে

গত ১৪ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট ২০১৮ সালের রায়ের পুনর্বিবেচনার আবেদন গ্রহণ করে। এ ব্যাপারে পাঁচ বিচারপতি একমত হননি। রায় পর্যালোচনার পক্ষে ছিলেন তিন বিচারপতি, বিপক্ষে ছিলেন ২জন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
sabarimala verdict, sabarimala supreme court

শবরীমালা মন্দির

শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশের ব্যাপারে কেরালার এক মহিলাকে বাধা দেওয়া সম্পর্কিত আবেদন সামনের সপ্তাহে শোনা হবে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু একই সঙ্গে আদালত জানিয়েছে ২০১৮ সালের সুপ্রিম কোর্টের এ সম্পর্কিত রায় শেষ কথা নয়।

Advertisment

দেশের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবডের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের এক বেঞ্চ এ কথা বলেছে। যে ভক্ত মহিলাকে মন্দিরে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে, তাঁর হয়ে সওয়াল করছিলেন ইন্দিরা জয় সিং। ইন্দিরা বলেন বিন্দু আম্মিনিকে মন্দিরে প্রবেশে বাধা দেওয়া ২০১৮ সালের সুপ্রিম কোর্টের রায় অমান্য করা। তিনি অভিযোগ করেন, তাঁর মক্কেলকে শবরীমালা মন্দির দর্শনের সময়ে পুলিশ কমিশনারের দফতরের বাইরে আক্রমণ করা হয়।

আরও পড়ুন, ট্র্যাফিক জ্যামই প্রমাণ করে যে গাড়ি শিল্পে মন্দা আসে নি, জানালেন বিজেপি সাংসদ

শীর্ষ আদালত জানিয়েছে এ বিষয়টি সাত বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি হবে। বেঞ্চ বলেছে, "এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে বৃহত্তর বেঞ্চে। এখনও পর্যন্ত কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

গত ১৪ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট ২০১৮ সালের রায়ের পুনর্বিবেচনার আবেদন গ্রহণ করে। এ ব্যাপারে পাঁচ বিচারপতি একমত হননি। রায় পর্যালোচনার পক্ষে ছিলেন তিন বিচারপতি, বিপক্ষে ছিলেন ২জন।

২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ শবরীমালা মন্দির প্রবেশে মহিলাদের বয়সের বিধিনিষেধ তুলে দেয়।

ইন্দিরা জয়সিং বলেন, বিন্দু আম্মিনিকে পুলিশ কমিশনারের দফতরের ঠিক বাইরে আক্রমণ করা হয়েছে। তাঁর উপর রাসায়নিক কোনও দ্রব্য সহকারে হামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বেঞ্চ এদিন বলেছে, আগের আবেদনগুলির সঙ্গেই এই আবেদন তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

নিজের আবেদনে বিন্দু জানিয়েছেন, তিনি সমাজকর্মী তৃপ্তি দেশাই ও অন্যান্যদের সঙ্গে ২৬ নভেম্বর মন্দির পরিদর্শন করার পরিকল্পনা করেছিলেন। তিনি জানান ট্যাক্সিচালকরা তাঁদের সেখানে নিয়ে যেতে অস্বীকার করেন। এরপর তিনি এ নিয়ে পুলিশের কাছে আবেদন জানাতে যান। কিন্তু কেরালার এর্নাকুলাম জেলার পুলিশ কমিশনারের দফতরের ঠিক সামনে তাঁর উপর হামলা হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।

বিন্দু জানান তাঁর মুখে এমন কিছু রাসায়নিক দ্রব্য ছোড়া হয় যাতে শরীরের ত্বকে জ্বলুনির অনুভূতি হচ্ছিল। কিন্তু পুলিশ তাঁকে যথাযথ সুরক্ষা দেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

CJI supreme court Sabarimala
Advertisment