শবরীমালা মামলা সুপ্রিম কোর্টের সাত সদস্যরে সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠানো হয়েছে। বিচারপতি চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি ফলি নারিমান ভিন্নমত পোষনেই এই সিদ্ধান্ত। কেন ভিন্ন মতো পোষন করা হয়েছে? সেই বিষয়টি খুঁটিয়ে পড়ার জন্য শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের তরফে সরকারি আধিকারিকদের পরামর্শ দেওয়া হয়। আর্থিক তছরুপে অভিযুক্ত কংগ্রেস নেতা ডি কে শিবকুমারের মামলার শুনানির সময় এই পরামর্শ দেন বিচারপতি ফলি নারিমান।
বিচারপতি নরিমান সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহেতাকে বলেন, 'শবরীমালা রায়ে ভিন্ন মতামতটি পড়ে দেখুন। সেদিন মূল রায়ের সঙ্গে ভিন্ন মতামতটি তুলে ধরা হয়নি।'
আরও পড়ুন: বিচারপতি চন্দ্রচূড় ও নারিমানের ভিন্নমতেই শবরীমালা মামলা গেল বৃহত্তর বেঞ্চে
২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট শবরীমালা মামলার রায় দেয়। নির্দেশ দেয় সব বয়সী মহিলারাই আয়াপ্পার মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন। কিন্তু, তা মানতে রাঝি ছিল না মন্দিরে পুরোহিত সম্প্রদায়। উত্তাল হয় কেরল। সুপ্রিম কোর্টের রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করা হয়। বৃহস্পতিবার সেই মামলার নিষ্পত্তি হয়নি। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটিকে সাত সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। তবে, পাঁচ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চে দুই বিচারপতি চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি ফলি নারিমান ২০১৮ সালের রায়ই বহাল রাখার বিষয়ে মত দেন। এদিন কোর্টে বিচারপতি ফলি নারিমান জানান, মামলাটির সঙ্গে অনেকগুলি বিষয় জড়িত। উচ্চ সাংবিধানিক বেঞ্চে রায়দানের সময় সেগুলিকে বিবেচনা করা হতে পারে, আবার নাও হতে পারে। তবে, কেরল সরকারকে বলা হয়েছে রায় কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে।
আরও পড়ুন: ধর্মীয়স্থানে মহিলাদের প্রবেশের ছাড়পত্রে ‘একক নিয়ম’ চালুর পক্ষে সুপ্রিম কোর্ট
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চে ঐক্যমত হয়নি। ফলে শবরীমালা মন্দিরে যে কোনও বয়সের মহিলাদের প্রবেশাধিকার নিয়ে আপাতত কোনও রায় দেয়নিসর্বোচ্চ আদালতের সাংবিধানিক বেঞ্চ। মামলাটি পাঠানো হল শীর্ষ আদালতের বৃহত্তর বেঞ্চে। সেখানে ৭ বিচারপতির তত্বাবধানে এই মামলার রায়দান হবে। আজ এই নির্দেশ দিলেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চ। ফলে আপাতত ঝুলেই রইলো কেরলের শবরীমালায় যে কোনও বয়সের মহিলাদের অবাধে প্রবেশাধিকারের বিষয়টি।
সাংবিধানিক বেঞ্চের সদস্য বিচারপতি চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি ফলি নারিমান ভিন্নমত পোষন করেন। তাঁরা ২০১৮ সালের শবরীমালা সংক্রান্ত রায়টি-ই বহাল রাখার বিষয়ে মত দেন। এই মামলার রায় পড়তে গিয়ে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বেশ কয়েকটি দৃষ্টান্তের কথা তুলে ধরেছেন। তাঁর মতে, শুধু হিন্দু মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশাধিকারই সীমাবদ্ধ, এমনটা নয়। মসজিদের ক্ষেত্রেও একই কঠোর নিয়ম আছে। পার্সি মহিলাদের মামলা এবং দাউদি বোরা মামলার বিষয়ও একই। এই সব মামলা আদালতে বিচারাধীন।
Read the full story in English