হরিয়ানার পানিপথে তিন মহিলাকে ধর্ষণের পর বিরোধী দলগুলোর আক্রমণের মুখে পড়েছে সরকার। অন্যদিকে, বিষয়টি তদন্তে SIT গঠন করা হয়েছে।
হরিয়ানার পানিপথ জেলায় তিন মহিলাকে ধর্ষণ এবং এক মহিলাকে হত্যার ঘটনার তদন্তে শুক্রবার তিন সদস্যের একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) গঠন করা হয়েছে। দুটি ঘটনাই একই গ্যাং- মেম্বাররা ঘটিয়েছে বলেই পুলিশের প্রাথমিক সন্দেহ। পুলিশ জানায়, পলাতক আসামিদের ধরতে পুলিশের একাধিক দল গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার বিরোধী দলগুলি পানিপথের ঘটনায় মনোহর লাল খট্টর সরকারকে নিশানা করেছে। একই সময়ে, কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টি দাবি করেছে যে হরিয়ানায় আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে এবং মহিলারা এমনকি তাদের বাড়িতেও নিরাপদ নয়। পানিপথের এক পুলিশ আধিকারিক বলেছেন, “দুটি মামলার তদন্তের জন্য পানিপথের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ কৃষ্ণ কুমারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি এসআইটি গঠন করা হয়েছে”।
তিনি বলেন, “আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারি নিশ্চিত করতে প্রায় ১৫০ পুলিশ কর্মীর ১৫টি টিম গঠন করা হয়েছে। গণধর্ষণের এই ঘটনাটি ঘটেছে গ্রামের একটি খামারবাড়িতে। উত্তরপ্রদেশের এক বাসিন্দা পুলিশকে জানিয়েছেন যে তিনি গত কয়েক মাস ধরে এখানে তৈরি কুঁড়েঘরে তার পরিবার এবং আত্মীয়দের সঙ্গে বসবাস করছেন। অভিযোগকারী জানান, তারা সবাই যখন ঘুমাচ্ছিলেন, তখন চারজন মুখোশধারী দূষ্কৃতি ঘরে ঢুকে পড়ে। সকলের কাছেই আগেয়াস্ত্র ছিল বলেও জানা গিয়েছে। পরিবারের সদস্যদের দড়ি দিয়ে বেঁধে তিন মহিলাকে ধর্ষণ করা হয় বলেই অভিযোগ।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা নগদ টাকা ও গয়নাও লুট করেছে। প্রথম ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে অপর একটি ঘটনায় দুর্বৃত্তরা অসুস্থ এক মহিলার ওপর হামলা চালায়। প্রবীণ কংগ্রেস নেত্রী ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কুমারী শৈলজার অভিযোগ, মহিলারা নিজেদের বাড়িতেও নিরাপদ নয়। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ পোস্ট করে শৈলজা বলেন, “অপরাধীদের আইনের ভয় নেই। খট্টর সাহেব, এ কেমন আইনশৃঙ্খলা?'' তিনি দাবি করেন, মানবতাকে লজ্জায় ফেলে দেওয়া এই 'দানবদের' গ্রেফতার করে কঠোরতম শাস্তি দেওয়া উচিত। আপ নেতা অনুরাগ ধান্দা বলেছেন, “একটি দল সারা রাত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এবং পুলিশের কাছেও কোনো ক্লু নেই। এটি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার বাস্তব পরিস্থিতি প্রতিফলিত করছে”।
ঘটনার কথা স্মরণ করে নির্যাতিতা এক মহিলা বলেন, “আমি তাদের বলেছিলাম আমরা আপনার বোনের মতো, এবং তাদের একজন আমাকে ঠাট্টা করে এবং আমার গালে কামড় দেয়। আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন আমি কেমন অনুভব করেছি। রাত ৮টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত দুজন মিলে আমাকে ধর্ষণ করেও থামেনি। আমরা এই বিষয়ে কিছু করতে পারিনি"।