আত্মসমর্পণের জন্য সময় চান সজ্জন কুমার। তাঁর আইনজীবী দিল্লি হাইকোর্টে অতিরিক্ত ৩০ দিন সময় চেয়ে আবেদন করেছেন। সম্ভবত শুক্রবার এ বিষয়ে শুনানি হবে। এর আগে শিখ দাঙ্গায় সারা জীবনের জন্য কারাবাসের সাজাপ্রাপ্ত সজ্জন কুমারকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের সময় দেওয়া হয়েছিল। সজ্জন কুমার ২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় চেয়েছেন।
১৯৮৪ সালে ইন্দিরা গান্ধী হত্যার পরবর্তীকালীন শিখ দাঙ্গায় একই পরিবারে পাঁচজনের খুনের ঘটনায় নিম্ন আদালতের রায় সম্পূর্ণ উল্টে দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। বিচারপতি এস মুরলীধর এবং বিচারপতি বিনোদ গোয়েলের বেঞ্চ একইসঙ্গে স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দিয়েছে, সজ্জন কুমারের ক্ষেত্রে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের অর্থ মৃত্যু পর্যন্ত জেলের ঘানি টানতে হবে তাঁকে। এই রায় শোনার পর কংগ্রেসের প্রাথমিক সদস্যপদ ছেড়ে দিয়েছেন সজ্জন কুমার।
আরও পড়ুন, মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে এক দশকের কারাবাস, মৃত্যুর ১০ মাস পর নির্দোষ প্রমাণিত বাবা
হামলায় নিহতদের পরিবারের পক্ষের আইনজীবী এইচ এস ফুলকা জানিয়েছেন, তাঁরা এই আবেদনের বিরোধিতা করবেন।
এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার দিল্লির পাতিয়ালা আদালতে ১৯৮৪র শিখ দাঙ্গার অপর একটি মামলায় হাজিরা দেন সজ্জন কুমার। সুলতানপুরীতে সুরজিত সিং নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা এবং দাঙ্গা বাধানোর অভিযোগে আনা এই মামলায় সজ্জন কুমার ছাড়া অন্য অভিযুক্তরা হলেন ব্রহ্মানন্দ গুপ্তা এবং বেদ প্রকাশ।
এ বছরই এই মামলার সাক্ষ্য দিতে গিয়ে চাম কাউর বলেছিলেন, তিনি সজ্জন কুমারকে দেখেছেন জনতাকে খেপিয়ে তুলতে। অভিযোগ, সজ্জন কুমার জনতার সামনে বলেছিলেন, আমাদের মা-কে খুন করেছে শিখরা। পাল্টা হিসেবে শিখদের খুন করার ডাক দিয়েছিলেন সজ্জন কুমার, এমনটাই অভিযোগ চাম কাউরের। তিনি আরও বলেন, পরদিন সকালে তাঁদের বাড়ি আক্রমণ করা হয়, হত্যা করা হয় তাঁর বাবা ও ছেলেকে। এদিনের মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে পারেননি সজ্জন কুমারের আইনজীবী অনিল শর্মা। আগামী ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত এই মামলার শুনানি স্থগিত রাখা হয়েছে।
Read the Full Story in English