ভয়ঙ্কর ভাবে জখম, হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত লেখক সলমন রুশদি। শুক্রবারের হামলায় রুশদির লিভার, বাহু, চোখে গুরুতর চোট লাগে। ইতিমধ্যেই লেখকের ওপর আক্রমণের ঘটনায় গর্জে উঠেছে তামাম বিশ্ব। প্রায় সকল সভ্য দেশের রাষ্ট্রনেতা থেকে শুরু করা সাধারণ মানুষ রুশদির ওপর হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হন। এর মধ্যেই রুশদি বেঁচে আছেন জানতে পেরে হতবাক হাদি মাটার। লেখকের ওপর হামলার ঘটনায় নিউইয়র্ক পুলিশের হাতে বন্দি বছর ২৪-এর হাদি মাটার জেল থেকেই নিউইয়র্ক পোস্টের সঙ্গে কথা বলার সময় বলেন, “আমি মানুষটিকে পছন্দ করি না। আমি মনে করি না যে তিনি খুব ভাল মানুষ,। “তিনি এমন একজন, যিনি ইসলামকে আক্রমণ করেছেন। তিনি তাদের বিশ্বাস, বিশ্বাস ব্যবস্থাকে আক্রমণ করেছিলেন।"
১৯৮৮ সালে প্রকাশিত হয় রুশদির সেই বিখ্যাত বই, দ্য স্যাটানিক ভার্সেস। বইটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পাশাপাশি লেখককেও প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয় ইরানের তরফে। যদিও রুশদির ওপর আক্রমণের ঘটনায় নিজেদের অবস্থান ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করেছে ইরান। তারা জানিয়েছে এই হামলার সঙ্গে তাদের দেশের কোন সম্পর্ক নেই। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে লেবাননের হেজবোল্লা জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগ রয়েছে আততায়ী হাদি মাটারের। মাদার দাবি করেন, ইরানের প্রয়াত নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনিকে "একজন মহান ব্যক্তি"।
আরও পড়ুন: < নামাজ চলাকালীন বিষ্ফোরণ, কাবুলে ঝলসে মৃত ১০ >
শুক্রবারের হামলায় গুরুতর জখম হন ৭৫ বছর বয়সি লেখক। এদিন তার এজেন্ট অ্যান্ড্রু ওয়াইলি বলেছেন, তার অবস্থার উন্নতি হয়েছে এবং তিনি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম হলেও যুক্তরাষ্ট্র ও লেবাননে তার দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে। মাটারের মা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “শেষ ২০১৮ সালে ছেলে লেবাননে বাবার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল। ফিরে আসার পর থেকে সেভাবে পরিবারের সঙ্গে ছেলের সেরকম কোন যোগাযোগ ছিল না”।