একচোখ হারিয়েও ভেঙে পড়েননি, যাঁরা পাশে থেকেছেন, তাঁদের ধন্যবাদ দিচ্ছেন রুশদি

বিজয় নগর সাম্রাজ্যের ওপর লেখা তাঁর সর্বশেষ উপন্যাসই এখন ধ্যানজ্ঞান এই ঔপন্যাসিকের।

Salman Rushdie
সলমন রুশদি

বুকারজয়ী উপন্যাস ‘মিডনাইটস চিলড্রেন’-এর লেখক সলমন রুশদি জানিয়েছেন, তিনি ভাগ্যবান। কারণ, গত বছর তাঁকে হত্যার যে চেষ্টা হয়েছিল, তা থেকে তিনি বেঁচে গিয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এক সাহিত্য অনুষ্ঠানে রুশদির ওপর হামলা হয়েছিল। মুম্বইয়ে জন্মগ্রহণকারী এই ব্রিটিশ-মার্কিন ঔপন্যাসিক তাতে এক চোখ হারিয়েছেন।

বছর ৭৫-এর রুশদি সেই অভিশপ্ত ১২ আগস্ট নিউইয়র্কের চৌতাকুয়া ইনস্টিটিউশনে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। তখনই একজন ব্যক্তি মঞ্চে প্রবেশ করেন। রুশদিকে বেশ কয়েকবার ছুরিকাঘাত করে ও ঘুষি মারে। সেই হামলার পর এই প্রথমবার সাক্ষাত্কারে দিলেন প্রখ্যাত সাহিত্যিক। ‘দ্য নিউ ইয়র্কার’ ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রুশদি ওই হামলা থেকে রক্ষা পাওয়ায় ছেলে জাফর এবং মিলন-সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

সাক্ষাৎকারে রুশদি বলেছেন, ‘প্রচণ্ড আক্রমণ হয়েছিল। তারপরও আমি উঠতে পারছি, ঘুরে বেড়াতে পারছি। শরীরের বিভিন্ন অংশের চেক আপ করাতে পারছি। মানে আমি ভালো আছি।’ ইরানের প্রাক্তন সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেইনি রুশদির উপন্যাস ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’-এর নিন্দা করেছিলেন। আর, তার প্রেক্ষিতে লেখককে হত্যার জন্য মুসলমানদের আহ্বান জানিয়েছিলেন। তারপরও কয়েক বছরের মধ্যে নিউ ইয়র্কে তাঁর রক্ষী প্রত্যাহার করাটা কি ঠিক ছিল?

জবাবে রুশদি বলেন, ‘এর উত্তর আমার জানা নেই। তবে, মধ্যে ২০ বছর কেটে গিয়েছে। এই সময়ে আমি প্রচুর বই লিখেছি। দ্য স্যাটানিক ভার্সেস ছিল আমার পঞ্চম প্রকাশিত বই আর চতুর্থ প্রকাশিত উপন্যাস। আর, ভিক্টরি সিটি আমার ২১তম বই। লেখক হিসেবে আমার জীবনের তিন-চতুর্থাংশই ফতোয়া দেওয়ার পর কেটেছে।’

আরও পড়ুন- এটা আদানির বিদেশনীতি? সংসদে মোদীর সঙ্গে শিল্পপতির ছবি দেখিয়ে সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন রাহুলের

লেখক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তিনি যখন মৃত্যুর কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন, সেই সময় যাঁরা তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন, তাঁদের দ্বারা তিনি অত্যন্ত অনুপ্রাণিত। কারণ, তিনি কখনও ভাবেননি যে তাঁকে হত্যা করা হলে বা প্রায় হত্যার মুখে তিনি চলে গেলে, লোকজন ঠিক কী প্রতিক্রিয়া জানাবেন। রুশদি বলেন, ‘আমি এই কয়েক বছর ধরে নিন্দা ও তিক্ততা এড়াতে অনেক চেষ্টা করেছি। আমি শুধু মনে করি এই নিন্দা ও তিক্ততা ভালো নয়।’ রুশদির ওপর হামলাকারী হাদি মাতারকে চৌতাউকার কাউন্টি কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছে। দ্বিতীয়বার খুনের চেষ্টায় অভিযুক্ত মাতার এখন দীর্ঘ কারাদণ্ডের মুখোমুখি।

Read full story in English

Stay updated with the latest news headlines and all the latest General news download Indian Express Bengali App.

Web Title: Salman rushdie says that he is lucky

Next Story
মমতার সিঙ্গল ইঞ্জিন মডেল আসলে কী? বাংলার উদাহরণ টেনে ত্রিপুরাবাসীকে বোঝালেন শুভেন্দু
Exit mobile version