Same sex Uttar Pradesh Marriage: উত্তরপ্রদেশে ছেলের সমকামী সঙ্গীকে থাপ্পড় মারায় গুণধর ছেলের কোদালের আঘাতে খুন হলেন বাবা। শুধু তাই নয়, খুনের পর মেটালের বাক্সের ভিতরে নিহত বাবার দেহ পুড়িয়েও ফেলার চেষ্টা করেছে অভিযুক্ত। নিহত বাবা, পেশায় ট্যাক্সিচালক। নাম মোহনলাল শর্মা। তিনি মথুরার আন্তাপাড়ার বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় নিহতের ছেলের তিন বন্ধুও যুক্ত বলেই জানতে পেরেছে পুলিশ। পুলিশ ঘটনায় চার জনকে গ্রেফতার করেছে। নিহত মোহনলাল শর্মার বয়স ৫৫ বছর। আর, তাঁর গুণধর ছেলের বয়স ২৩।
পুলিশ নিহত মোহনলালের আংশিক দগ্ধ দেহ, তাঁর বাড়ি থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে আইরা গ্রামের কাছে ধাতব বাক্সের মধ্যে পেয়েছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, হত্যাকারীরা দেহটি লুকিয়ে ফেলার চেষ্টা চালিয়েছিল। এই ঘটনায় মথুরার এসপি (গ্রামীণ) ত্রিগুণ বিসেন বলেছেন, 'নিহতের ছেলে অজিতের সঙ্গে সহ-অভিযুক্ত কৃষ্ণ ভার্মার (২০) শারীরিক সম্পর্ক ছিল। কৃষ্ণ ভার্মাকে চড় মেরেছিলেন মোহনলাল শর্মা। সেই রাগেই তাঁকে খুন করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত ছিল অজিত ও কৃষ্ণর দুই বন্ধু লোকেশ (২১) এবং দীপকও (২২)।' পুলিশ জানিয়েছেন, ধৃত চার জন একটি নাচের দলে যুক্ত ছিল। এই দলের সদস্য কৃষ্ণ অজিতকে তাঁর স্বামী বলে মনে করে। আর, তাঁকে ছেড়ে যেতে নারাজ।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, এই সম্পর্ক নিয়ে অজিতের সঙ্গে তাঁর বাবার নিয়মিত ঝগড়া হত। তারপরও সম্পর্ক টিকে থাকায় মোহনলাল ১ মে, কৃষ্ণ ও অজিতকে চড় মেরেছিল। যার প্রতিশোধ নিতেই ২ মে রাতে তাঁকে খুন হতে হয়। হত্যাকারীরা প্রথমে অজিতের দেহ বিছানার নীচে রেখেছিল। তারপর ৩ মে রাতে তাতে আগুন লাগিয়ে দেয়। ধৃতদের চার জনকেই জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত মোহনলালের একমাত্র ছেলে অজিত। সে একটি কাপড়ের দোকানে কাজ করত। অজিত মাধ্যমিক-স্তর পর্যন্ত লেখাপড়া করেছিল। তার মা বিমলেশ দুই দশক আগে মারা গিয়েছেন। পাঁচ বছর আগে অজিত ও কৃষ্ণর প্রথম সাক্ষাৎ হয়। তারপর থেকেই তাঁদের পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ তৈরি হয়েছিল।
আরও পড়ুন- বিরাট সাফল্য ভারতের! মোদী সরকারের চালে চাপে পড়ে গেল আমেরিকাও
এই ঘটনায় রায়া থানার অফিসার অশোক কুমার বলেছেন, জিজ্ঞাসাবাদের সময় অজিত মেনে নিয়েছে যে সে কৃষ্ণের ওপর হাত তোলা সহ্য করতে পারেনি। তাই তার বাবাকে হত্যা করেছিল। হত্যার পর দেহটি বিছানার নীচে লুকিয়ে রেখেছিল। মৃতদেহের গন্ধ ঢাকতে ধূপকাঠি ব্যবহার করেছিল। প্রতিবেশীরা সন্দেহ করলে মিথ্যা কথা বলেছিল। জানিয়েছিল, মোহনলাল কাজের সূত্রে লখনউয়ে গিয়েছেন।