Advertisment

সমঝোতা বিস্ফোরণ মামলা: এনআইএ-র দিকে আঙুল প্রাক্তন তদন্তকারী আইপিএসের

মালেগাঁও মামলায় এক সরকারি আইনজীবীর কথা উল্লেখ করলেন নারায়ণ রাই, যে আইনজীবী তাঁর বয়ানে জানিয়েছিলেন, এনআইএ ওই মামলায় তাঁকে নরম হতে বলেছিল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
samjhauta express, সমঝোতা এক্সপ্রেস

সমঝোতা এক্সপ্রেস। ছবি: রানা সিমরঞ্জিত সিং, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

সমঝোতা এক্সপ্রেস মামলা ফাঁস করেছিলেন প্রাক্তন আইপিএস অফিসার বিকাশ নারায়ণ রাই। বুধবার সমঝোতা বিস্ফোরণ মামলায় সব অভিযুক্ত ছাড়া পেয়ে যাওয়ার পর তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তিনি। বললেন, এই খালাসের ঘটনায় দায়ী এনআইএ।

Advertisment

১৯৭৭ সালের আইপিএস ব্যাটের অফিসার বিকাশ রাই। তাঁর নেতৃত্বেই ইন্দোরের এক বাজার থেকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল বিস্ফোরণে ব্যবহৃত ব্যাগ। এদিন তিনি বলেন, যখন থেকে বাদীপক্ষ মামলা শেষ করতে চাইছিল তখন থেকেই অভিযুক্তদের খালাস পাওয়া নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল।

আরও পড়ুন, সমঝোতা এক্সপ্রেস বিস্ফোরণ: কারা অভিযুক্ত, কী ছিল চার্জশিটে

ফোনে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সঙ্গে কথা বলার সময়ে হরিয়ানা পুলিশের আইন শৃঙ্খলা বিভাগের প্রাক্তন ডিজি বেশ কয়েকটি মামলায় এনআইএ-র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন। এর মধ্যে রয়েছে ২০০৭ সালের আজমীর, মক্কা মসজিদ এবং মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলা। তাঁর বক্তব্য, এ সবকটা মামলা এক সূত্রে বাঁধা, একই গোষ্ঠী এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

মালেগাঁও মামলায় এক সরকারি আইনজীবীর কথা উল্লেখ করলেন নারায়ণ রাই, যে আইনজীবী তাঁর বয়ানে জানিয়েছিলেন, এনআইএ ওই মামলায় তাঁকে নরম হতে বলেছিল। তিনি বলছিলেন সরকারি আইনজীবী রোহিণী সালিয়ানের কথা, ২০১৫ সালে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে দেওয়া সাক্ষাৎকারে যিনি জানিয়েছিলেন মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় তাঁকে নরম হতে বলেছে এনআইএ। পরে রোহিণীকে এ মামলা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তার পর এনআইএ সন্দেহভাজনদের বিরুদ্ধে লঘু চার্জশিট দাখিল করে এবং মোকা আইনের আওতায় আনা অভিযোগ থেকে নাম সরিয়ে দেয়।

নারায়ণ রাই জানালেন তিনি মামলার রায় পড়েননি। তিনি বলেন, "কী ভাবে মক্কা মসজিদ, আজমীর এবং সমঝোতা মামলায় সব অভিযুক্তরা ছাড়া পেয়ে গেল সে ব্যাপারে এনআইএ-র কাছে ব্যাখ্যা থাকা উচিত। এনআইএ যে প্রমাণ সংগ্রহ করেছিল এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যা সাক্ষ্য এসেছিল, তা থেকে স্পষ্ট যে তথ্য প্রমাণ এবং সাক্ষ্য তা আদালতে দাঁড়ায়নি এবং এনআইএ-র কাহিনি গ্রহণযোগ্য হয়নি।" তিনি আরও বলেন, "যদি এনআইএ-র কাছে অন্য কোনও তথ্যপ্রমাণ থেকে থাকে তাহলে তা আদালতকে জানানো উচিত। আমার মনে হয় তা করা হয়নি। এসব থেকে এনআইএ-র ভূমিকা প্রমাণিত হয়। স্পষ্টতই ওরা তদন্তটা ঘেঁটে ফেলেছে। যদি তোমরা খালাসের বিরুদ্ধে আবেদন না করো, তাহলে তোমরা তোমাদের মামলা সম্পর্কে নিশ্চিত নও। আর যদি তোমরা তোমাদের মামলা নিয়ে নিশ্চিত না হও, তাহলে তোমরা সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট ফাইল করছ না কেন?"

"বছরের পর বছর ধরে মামলা চলেছে। তদন্তকারী সংস্থার অবস্থান বদল ঘটেনি। এনআইএ এখনও মনে করে যারা গ্রেফতার হয়েছে এবং যাদের বিরুদ্ধে চার্জ আনা হয়েছে তারাই অভিযুক্ত। এনআইএ তদন্তের ধারাতেও কোনও পরিবর্তন আনা হয়নি। যদিও সরকার বদলেছে, বদলেছে এনআইএ-র ডিজিও।"

Read the Full Story in English

Advertisment