জঞ্জাল ফেলার গাড়িতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্য নাথের ছবি মেলায় বরখাস্ত করা হয় বছর ৪০ এর সাফাই কর্মীকে। একই সঙ্গে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর এবং স্যানিটারি সুপারভাইজারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এই ঘটনায় পুর্নাঙ্গ তদন্তেরও নির্দেশ দেওয়া হয়।
Advertisment
মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের কাছে সাফাই কর্মী ববি বলেন, “তিনি পুরোপুরি নির্দোষ। তিনি নিরক্ষর থাকায় প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ছবিগুলি তিনি চিনতে পারেননি”।
মথুরার মিউনিসিপ্যাল কমিশনার অনুয়া ঝা বলেছেন, “এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই একটি ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে সাফাইকর্মীকে তাঁর কাজে পুনর্বহাল করা হয়েছে”।
আধিকারিকরা সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় বলেন, “সাফাই কর্মী ববি শনিবার একটি আবর্জনা সংগ্রহ কেন্দ্র আবর্জনা তুলে জঞ্জাল ফেলার গাড়িতে জড়ো করেন । আবর্জনার ক্যানে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথের ছবি ছিল। রাস্তায় দুই ব্যক্তি ববিকে আটকান এবং তারা সম্পূর্ণ ঘটনার ভিডিও করেন। যাতে তাকে প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর ছবি সহ আবর্জনা বহন করতে দেখা যায়। সাফাইকর্মী ববি এই কমিটির কাছে এমন ঘটনা ভবিষ্যতে না হওয়ার আশ্বাস দিতেই তাঁকে কাজে পুনর্বহালের সুপারিশ করা হয়”।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, “তিনি খুব তাড়াতাড়ি তাঁর দায়িত্ব আবার পালন করবেন। সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন “ তার পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী, ববির চারটি সন্তান রয়েছে তাদের মধ্যে তিনটি মেয়ে। তিনি তার মৃত ভাইয়ের পরিবারকেও আর্থিক ভাবে সাহায্য করেন এমন অবস্থায় ববির কাজ চলে গেলে পরিবারটি ভেসে যাবে”।
ববি সাধারণত দুটি শিফটে কাজ করেন সকাল ৬ টা থেকে ১০ টা, এবং বিকাল ৩ টে থেকে ৬ টা । মাসে ববির উপার্জন প্রায় ২০ হাজার টাকার মত। সেদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে ববি সংবাদ মাধ্যমের সামনে বলেন, “ আমি আমার কাজ করছিলাম। আমি নিরক্ষর থাকায় ছবিগুলো চিনতে পারিনি। এরপরই তিনজন ঘটনার ভিডিও করেন”। মথুরা মিউনিপ্যাল কর্পোরেশনের আধিকারিক ডাঃ করিম আখতার কুরেশি বলেছেন, ববি মিউনিসিপ্যাল কমিশনারের কাছে যা ঘটেছিল তার জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন, যার পরে তাকে কাজে পুনর্বহাল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়”।