লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে দেশবাসীকে রামমন্দির নিয়ে বিরাট চমক দিতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। জানুয়ারিতেই রামমন্দির উদ্বোধন। জল্পনার মাঝে রাম মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র বলেছেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০-২৪ জানুয়ারির মধ্যে যে কোনও দিন রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা সম্পর্কিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন। রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাস জি মহারাজ জানিয়েছেন, ১৫ জানুয়ারি থেকে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠান হবে। স্থির করা হয়েছে যে ২২ জানুয়ারি রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হবে। আমাদের তরফে পিএমওকে চিঠি লেখা হয়েছে এখনও পর্যন্ত স্থির করা হয়েছে মোদী ২২ তারিখে অযোধ্যায় আসবেন।
এদিকে, মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র বলেছেন যে তিনতলা বিশিষ্ট রাম মন্দিরের নিচতলার নির্মাণকাজ ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ শেষ হবে এবং ২২ শে জানুয়ারি রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হবে। নৃপেন্দ্র মিশ্র আরও জানান, মন্দিরের চূড়ায় স্থাপন করা হবে এমন একটি যন্ত্র ডিজাইনের কাজ চলছে। এর মাধ্যমে প্রতি বছর রাম নবমীর দিনে গর্ভগৃহে দেবতার কপালে ক্ষণিকের জন্য সূর্যের কিরণ পড়বে। তিনি বলেন, বিজ্ঞানীদের তত্ত্বাবধানে এটি তৈরি হচ্ছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। মন্দির কমিটি ৬০০০ জনকে আমন্ত্রণ জানানোর পরিকল্পনা করছে।
সম্ভবত, ২২ জানুয়ারি সেই ‘পবিত্রকরণ’ অনুষ্ঠান হবে বলে আশা করা হচ্ছে। পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে নৃপেন্দ্র মিশ্র জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে চূড়ান্ত তারিখে এখনও সিলমোহর দেওয়া হয়নি। হলেই জানানো হবে। মিশ্র আরও জানিয়েছেন যে মন্দিরের ‘শিখরে’ ইনস্টল করা হবে এমন একটি যন্ত্র, যা প্রতিবছর রামনবমীর দিনে গর্ভগৃহে দেবতার কপালে সূর্যের রশ্মি মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে দেবে। সেই যন্ত্রের নকশা তৈরির কাজ চলছে।
গর্ভগৃহের কাজ শেষ পর্যায়ে। সম্প্রতি শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট রাম মন্দির নির্মাণের নতুন ছবি প্রকাশ করেছে। বলা হয়েছিল, রাম মন্দিরের গর্ভগৃহের কাজ শেষ পর্যায়ে। প্রথম তলায় পিলারের প্রায় ৫০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। যেখানে নভেম্বরের মধ্যে নিচতলা পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে যাবে। কিছুদিন আগে জানানো হয়েছিল যে জানুয়ারিতে গর্ভগৃহে বসবেন রামলালা। ২৪ জানুয়ারি সাধারণ মানুষের জন্য মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হবে বলেও জানা যাচ্ছে। মোট আড়াই একর জায়গার ওপর তৈরি হচ্ছে রাম মন্দির। এছাড়া ৮ একর জায়গা জুড়ে তৈরি হচ্ছে পুরো মন্দির চত্বর।
তিনি আরও জানিয়েছেন, আগামী ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ অযোধ্যায় তিনতলা রাম মন্দিরের নিচতলার নির্মাণ কাজ শেষ হবে। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই তথ্য জানিয়েছেন রাম মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র। নৃপেন্দ্র মিশ্র বলেছেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০-২৪ জানুয়ারির মধ্যে যে কোনও দিন প্রাণ প্রতিষ্ঠা সম্পর্কিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন। তবে তার সম্ভাব্য তারিখ ২২ জানুয়ারি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
নৃপেন্দ্র মিশ্র আরও জানিয়েছেন, প্রাণ প্রতিষ্টার দিনটি হবে সেই দিন যেদিন ঈশ্বর সবার সামনে থাকবেন। সেই দিনটি এমনভাবে বেছে নেওয়া হবে যাতে পূজার অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয় এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীও উপস্থিত থাকেন।
তিনি বলেন, “অনুমান করা হচ্ছে রামমন্দিরের শুভ সূচনা ২৪ জানুয়ারির মধ্যেই সম্পন্ন হবে। কারণ তার পরে প্রধানমন্ত্রী মোদী প্রজাতন্ত্র দিবসের কর্মসূচিতে ব্যস্ত থাকবেন এবং সেই কর্মসূচি ২৮-২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এখনও চূড়ান্ত তারিখ জানানো হয়নি। দিন নির্ধারিত হলে এলে ট্রাস্ট তা ঘোষণা করবে।” রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাস বলেছেন যে ১৫ জানুয়ারি থেকে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠান চলবে এবং এর মধ্যেই রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার কাজ সম্পন্ন করা হবে। সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই, জানিয়েছেন "অযোধ্যার রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে রাম লালার প্রাণপ্রতিষ্ঠায় সমস্ত জাতি ও বর্ণ নির্বিশেষে রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত হন সে চেষ্টা করা হচ্ছে,".