জন নিরাপত্তা আইনে ওমর আবদুল্লাকে বন্দি করেছে কেন্দ্র। মোদী সরকারের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন তাঁর বোন সারা আবদুল্লা পাইলট। অবিলম্বে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে মুক্তি দেওয়া হোক, শীর্ষ আদালতে এই আবেদন করলেন সারা।
সোমবার আইনজীবী কপিল সিবাল সারার আবেদনের দ্রুত শুনানির আর্জি জানান বিচারপতি রামানার বেঞ্চে। তাঁর মক্কেল সুপ্রিম কোর্টে হেভিয়াস করপাস আবেদন করেছেন, ফলে চলতি সপ্তাহেই মামলার শুনানির জন্য আবেদন করেন কপিল সিবাল।
আরও পড়ুন: জন সুরক্ষা আইনেই আটক ওমর আবদুল্লা ও মেহেবুবা মুফতি: অমিত শাহ
সারা আবদুল্লা পাইলট অভিযোগ করেছেন যে, তাঁর দাদাকে জন নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করায় আসলে বাক স্বাধীনতার সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। এই ধরণের পদক্ষেপ আসলে ‘সমস্ত রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের দমিয়ে রাখার লক্ষ্যে ধারাবাহিক ও সম্মিলিত প্রচেষ্টার অং’। তাঁর দাবি, ‘আটক হওয়ার আগে আমার ভাই যে বিবৃতি দিয়েছেন বা সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ পোস্ট করেছেন, তাতে বার বার শান্তি ও সহযোগিতার কথা বলা হয়েছে। এর ফলে জন নিরাপত্তার ক্ষতি হওয়া সম্ভব নয়।’ পরে সারা পাইলট বলেন, ‘ঠিক কী অভিযোগে ওমর আবদিল্লাকে আটক করা হচ্ছে, তা আমার ভাইকে জানানো হয়নি। অভিযোগ সংক্রান্ত কোনও নথিপত্রও দেওয়া হয়নি।’
৫ অগাস্ট জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা রদ করে সেখানকার বিশেষ রাজ্যের সুবিধা প্রত্যাহার করে কেন্দ্রীয় সরকার। আর তখন থেকেই ওমর আবদুল্লা, মেহবুবা মুফতি সহ জম্মু ও কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতাদের গৃহবন্দি করে রাখা হয়। সম্প্রতি তাঁদের উপর পিএসএ অর্থাৎ জন নিরাপত্তা আইনটিও চাপিয়ে দেওয়া হয়। ৪৯ বছর বয়সী ওমরের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তাতে অসন্তোষ জানিয়েছেন অনেকে। সরকার একটি নথিতে বলেছে, ‘জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গিদের দাপট যখন চরমে, তখনও ওমর বিপুল ভোট পেয়েছেন।’ পরে বলা হয়েছে, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রাক্তন বাণিজ্য ও বিদেশ প্রতিমন্ত্রী মানুষকে প্রভাবিত করতে পারেন।’
এদিকে জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন দুই মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতিকে ফের গৃহবন্দি করার ব্যাখ্যা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের দাবি, উপত্যকার একাধিক জায়গায় ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা ও পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতির প্রভাব রয়েছে। তাঁরা এখনই বাইরে বেরোলে ফের কেন্দ্র বিরোধিতায় উস্কানি ছড়াতে পারেন স্থানীয়দের মধ্যে। আবারও উপত্যকার আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করেই দুই নেতা-নেত্রীকে গৃহবন্দি করে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন