Advertisment

সীমান্তবর্তী গ্রাম থেকে দিল্লির লাল কেল্লা, স্বাধীনতা দিবসে কেন্দ্রের বিশেষ আমন্ত্রণে আপ্লূত!

কেন্দ্রীয় সরকার চিন সীমান্ত সংলগ্ন গ্রাম থেকে বেশ কয়েক’শো গ্রাম প্রধানকে দিল্লি লাল কেল্লায় আমন্ত্রণ জানিয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Independence Day, Independence Day ceremony, Indo-Tibetan Border Police (ITBP), Independence Day, Independence Day ceremony, Indo-Tibetan Border Police (ITBP),

সীমান্তবর্তী গ্রাম থেকে দিল্লির লাল কেল্লা

এবারের স্বাধীনতা দিবসে বিশেষ অতিথিরা উপস্থিত থাকতে চলেছেন দিল্লি লাল কেল্লায়, আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে চিন সীমান্ত লাগোয়া শতাধিক গ্রাম প্রধানদের। আসন্ন স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের জন্য বিশেষ প্রস্তুতি নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় সরকার চিন সীমান্ত সংলগ্ন গ্রাম থেকে বেশ কয়েক’শো গ্রাম প্রধানকে দিল্লি লাল কেল্লায় আমন্ত্রণ জানিয়েছে।

Advertisment

নিজেদের গ্রাম থেকে দিল্লির লাল কেল্লায় প্রধানদের নিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইন্দো-তিব্বত বর্ডার পুলিশকে। অরুণাচল প্রদেশ, সিকিম, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ এবং লাদাখের চিন সীমান্তের প্রায় ৬৬২টি গ্রাম কেন্দ্রের ভাইব্রেন্ট ভিলেজ প্রোগ্রামের (ভিভিপি) আওতায় রয়েছে। প্রকল্পের জন্য ৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র।

সানডে এক্সপ্রেসের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে, উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী জেলার বাগোরি গ্রামের প্রধান সরিতা রাওয়াত জানিয়েছেন, “২শে জুলাই, আমাকে পঞ্চায়েত কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন যে আমাকে লাল কেল্লায় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হবে। আমি, প্রতিবেশী আট প্রধানসহ, আমন্ত্রণ পেয়েছি এবং ITBP কর্মীরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। আমি আমার স্বামীর সঙ্গে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে আসব। আমি ২০১৯ সাল থেকে আমার গ্রামের প্রধান; আমাদের গ্রামটি এ বছর একটি ‘প্রাণবন্ত গ্রাম’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।”

জেলারই আরও এক গ্রাম হারসিল গ্রামের প্রধান দীনেশ রাওয়াত বলেছেন, “প্রায় এক সপ্তাহ আগে, জেলা প্রশাসন এবং আইটিবিপি কর্মীরা আমাকে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য আমার কাছ থেকে কিছু নথি চায়। আমি এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে আমন্ত্রণ পাইনি, তবে আমাকে বলা হয়েছে যে আমি এবং আমার স্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি এপ্রিল মাসে আমার গ্রামেভ্রমণ করেন, এবং আমরা তার সঙ্গে বেশ কয়েকটি উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছি।”

‘প্রাণবন্ত গ্রাম কর্মসূচী’, প্রথম ঘোষণা করা হয়েছিল ২০২২ সালের বাজেটে। চিন সীমান্তবর্তী গ্রামের অর্থনৈতিক পরিকাঠানো উন্নত করার জন্যই কেন্দ্রের এই প্রকল্প। সেই বছর এপ্রিল মাসে অরুণাচল প্রদেশের কিবিথু সীমান্তলাগোয়া গ্রামে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই প্রকল্প চালু করেন।

এই প্রকল্পের অধীনে, দেশের উত্তর সীমান্তে অরুণাচল প্রদেশ, সিকিম, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ এবং লাদাখের ১৯টি জেলার ৪৬টি ব্লকের ১৯৬৭টি গ্রামকে "উন্নয়নের" জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ধাপে প্রায় ৬৬২টি গ্রাম চিহ্নিত করা হয়েছে।

সরকার এই প্রকল্পের জন্য ৪৮০০ কোটি টাকা বরাদ্দ অনুমোদন করেছে। মে মাসে দিল্লিতে একটি কর্মশালার উদ্বোধন করে, শাহ বলেছিলেন যে কেন্দ্র গত নয় বছরে সীমান্ত লাগোয়া অঞ্চলের উন্নতিতে ২৫০০০ কোটি টাকারও বেশি ব্যয় করেছে।  

Independence Day
Advertisment